হরিয়ানায় সরকারি কর্মীদের জন্য ফের চালু হচ্ছে বায়োমেট্রিক উপস্থিতি। করোনার জেরে রাজ্যের সব সরকারি অফিস, বোর্ড, কর্পোরেশন, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ এবং স্কুলের কর্মচারীদের বায়োমেট্রিক উপস্থিতি বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে বর্তমানে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। রাজ্যে রাজ্যে কমেছে সংক্রমণ। অন্য রাজ্যগুলির পাশাপাশি করোনার সংক্রমণ কমেছে হরিয়ানাতেও। সেই কারণেই কর্মীদের উপস্থিতির ব্যাপারে ফের পুরনো ব্যবস্থা চলুর পথে রাজ্য সরকার। আগামী ৫ এপ্রিল থেকে সরকারি কর্মীদের জন্য ফের রাজ্যে চালু হচ্ছে বায়োমেট্রিক উপস্থিতি ব্যবস্থা।
দু'বছর পর ফের কর্মী হাজিরায় পুরনো নিয়ম ফেরাচ্ছ হরিয়ানা সরকার। সরকারী কর্মীদের হাজিরার ব্যাপারে পুরোন ব্যবস্থা ফেরানো নিয়ে ইতিমধ্যেই একটি নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের সব প্রশাসনিক সচিব, বিভাগীয় প্রধান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বোর্ড ও কর্পোরেশনের প্রধান প্রশাসক, সরকার অধিগৃহীত সংস্থার প্রধান এবং সমবায় সমিতির পরিচালক, বিভাগীয় কমিশনার, জেলাশাসক এবং সব বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারদের কাছে এই নির্দেশিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সরকারি ওই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ২০২০-এর ৫ মার্চ থেকে রাজ্যের সব সরকারি দফতরে কর্মীদের হাজিরার ব্যাপারে বায়োমেট্রিক উপস্থিতি ব্যবস্থা স্থগিত করা হয়েছিল। করোনার কারণেই ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার এই বিষয়টি পর্যালোচনা করেছে। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে রাজ্য, PSU, সমবায় ফেডারেশন, বোর্ড এবং কর্পোরেশনের সমস্ত আধিকারিক এবং আধিকারিকদের আগামী ৫ এপ্রিল, ২০২২ থেকে বায়োমেট্রিক মেশিন (AEBAS)-এর মাধ্যমে তাঁদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন- উত্তর-পূর্বের তিন রাজ্যে কমছে AFSPA-আওতাধীন এলাকা, জানালেন অমিত শাহ
উল্লেখ্য, দেশের অন্য রাজ্যগুলির পাশাপাশি করোনার সংক্রমণ কমেছে হরিয়ানাতেও। বুধবার সন্ধেয় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী নতুন করে হরিয়ানায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ জন। এই মুহূর্তে রাজ্যে করোনার ইতিবাচকতার হার ০.৩৩ শতাংশ।
রাজ্যে করোনামুক্তির হার বেড়ে ৯৮.৮৯ শতাংশ। এই মুহূর্তে হরিয়ানায় মাত্র ২৯০ জন করোনা সক্রিয় রোগী রয়েছেন। যাঁদের মধ্যে ২৮১ জনই রয়েছেন হোম আইসোলেশনে। রাজ্যে মাত্র ৯ জন কোভিড হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তথ্য বলছে, হরিয়ানায় করোনা টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১০০ শতাংশ যোগ্য বাসিন্দা। অন্যদিকে, টিকার দ্বিতীয় ডোজটি ৮৭ শতাংশ যোগ্য নাগরিককে দেওয়া হয়েছে।
Read story in English