/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/11/Anil-Vij-Covaxin.jpg)
বেনজির পদক্ষেপ করে নিজের শরীরে কোভ্যাক্সিন প্রয়োগ করলেন হরিয়ানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল ভিজ। ভারত বায়োটেকের এই করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে অংশ নিয়ে দুঘণ্টা পর দিব্য নিজের দফতরে বসে কাজ করলেন ভিজ। ভ্যাকসিন প্রয়োগ করার পর সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানালেন, "ভারতীয়দের জন্য এটা গর্বের বিষয় যে ভারত বায়োটেকের মতো স্বদেশীয় সংস্থা এগিয়ে এসেছে করোনার ভ্যাকসিন তৈরির জন্য। যাতে মানুষের আতঙ্ক দূর হয় তাই আমি নিজের স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে অংশ নিয়েছি। ভ্যাকসিন তৈরিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।"
৬৭ বছরের ভিজ আবার ডায়াবেটিক রোগী। তিনিই হরিয়ানার প্রথম যিনি ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে অংশ নিলেন। কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে গোটা দেশে। অনিল ভিজ জানিয়েছেন, "অতিমারীর জেরে বহু মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা পাল্টে গেছে। কেউ কোনও অনুষ্ঠানে, আত্মীয়ের বাড়িতে যেতে ভয় পান। পরিজনদের সঙ্গে দেখা করতে পারছেন না, সিনেমা হলে যেতেও আতঙ্কিত, শিশুরা স্কুলে যেতে পারছে না। কলেজ, বাস সবই খালি। মানুষ এই অতিমারী থেকে মুক্ত হতে চাইছে। আর তার জন্য ভ্যাকসিন দ্রুত আসা আবশ্যক। আর সেইজন্য এই গুরুদায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছি।"
আরও পড়ুন বাড়ল অস্বস্তি, দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের চেয়ে কমল সুস্থতার হার
কেমন হল ভ্যাকসিন নেওয়ার অভিজ্ঞতা? সেই প্রসঙ্গে হরিয়ানার মন্ত্রী জানালেন, "চিকিৎসকদের উপর পূর্ণ আস্থা আছে আমার। প্রথম দুই পর্যায়ের ট্রায়ালে অনেক বিধিনিষেধ ছিল। কিন্তু তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিশেষ ক্যাটাগরির মধ্যে পড়ে। এক মিনিটের জন্যও ভয় পাইনি। ভ্যাকসিন শরীরে প্রয়োগের পর দফতরে এসে কাজও করেছি অন্যান্য দিনের মতো।" চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এক ঘণ্টা মতো ভিজকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। অন্তত বছর খানেক তাঁর শারীরিক অবস্থার উপর নজর রাখতে হবে। এবং প্রতি মাসে তাঁর রক্তপরীক্ষা করা হবে। ভিজ জানিয়েছেন, "আমার কোনও সমস্যা নেই তাতে। চিকিৎসকরা আমার শরীরে যে কোনও পরীক্ষা করতে পারেন। যখন খুশি।"
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন