হরিয়ানার নুহতে হিংসার পর পরিস্থিতি এখনও থমথমে। ইতিমধ্যে, সরকার গ্রাম নির্দিষ্টি কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে পঞ্চায়েত এবং প্রধানদের কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা শুরু করেছে। ৩১ জুলাই নুহতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার পরে মুসলমানদের তাদের গ্রামে প্রবেশে বাধা দেওয়ার অভিযোগ সামনে এসেছে সেই সব গ্রাম পঞ্চায়েত ও প্রধানদের বিরুদ্ধে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন বেশ কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং গ্রাম প্রধানকে এই মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়েছে। একজন গ্রামপ্রধানকে ইতিমধ্যে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
হরিয়ানার নুহ-তে হিংসার ঘটনার পরে, ঝাজ্জরের জেলা প্রশাসন রাজ্যে সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট করার কিছু লোকের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করেছে। জেলার দুটি গ্রামের পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে হরিয়ানা সরকার গ্রাম পঞ্চায়েত এবং প্রধানদের বিরুদ্ধে শো-কজ নোটিশ জারি করেছে। ৩১ জুলাই নুহতে সাম্প্রদায়িক হিংসার পরে তাদের গ্রামে মুসলমানদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব পাস করে সেই সকল গ্রাম পঞ্চায়েত। রেওয়ারি, ঝাজ্জার এবং মহেন্দ্রগড় জেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে এমন প্রস্তাব পাস করা হয় বলেই জানা গিয়েছে।
এই বিষয়ে জেলা শাসক ইমরান রাজা বলেছেন, “আমরা গ্রাম পঞ্চায়েত, প্রধানের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি এবং তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছি। সেই গ্রাম পঞ্চায়েত এবং প্রধানরা তাদের উত্তর পাঠাবেন, যা পরীক্ষা করে দেখা হবে। তারপর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷
হরিয়ানার গ্রামোন্নয়ন ওপঞ্চায়েত মন্ত্রী দেবেন্দর সিং বাবলি বলেছেন, “আমি এই সমস্যা সম্পর্কে সচেতন। কিছু জায়গায়, কিছু লোক এই ধরণের আইন জারি করেছে। কিন্তু আমি জেলা প্রশাসনকে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছি যে এই ধরনের কাজ বেআইনি এবং যদি কেউ এই ধরনের নির্দেশ জারি করে, তাহলে আইন অনুযায়ী এই ধরনের লোকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে," । রাজ্য সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছেন যে "সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ব্যাহত করার চেষ্টা করা হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"