কৃষকদের বিক্ষোভে হাড়কাঁপানো ঠান্ডার মধ্যেও উত্তাপ দিল্লিতে। তিন কৃষি আইন ঘিরে জট-জটিলতা দূর করার লক্ষ্যে আজ সপ্তমবারের জন্য কৃষক নেতাদের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে মুখোমুখি সরকারপক্ষ।বিজ্ঞান ভবনে চলছে বৈঠক। গত বৈঠকে কৃষকদের দু'টি দাবি মেনে নেয় সরকার। যার জেরে কিছুটা বরফ গলে। কিন্তু তিন কৃষি আইন বাতিলের মতো মূল ইস্যু নিয়ে এখনও কোনও রফা মেলেনি। তিন কৃষি আইন বাতিল করতেই হবে, প্রথম থেকেই নিজেদের দাবিতে অনড় কৃষকরা।
তার আগেই একদল কৃষকের উপর কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপের ঘটনায় এই পর্বে নয়া মাত্রা যোগ করল। দিল্লিমুখী একদল কৃষকের উপর কাঁদানে গ্য়াসের শেল নিক্ষেপ করেছে হরিয়ানা পুলিশ। যে কৃষকদের মধ্য়ে অধিকাংশই রাজস্থানের।
এদিকে, তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে অনড় কৃষকরা। সরকারের সঙ্গে বৈঠকের আগে দ্য় ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জাগির সিং দালেওয়াল বলেন, ‘‘আমাদের দাবি একই। কৃষি আইনগুলো বাতিল করতে হবে। সরকারকে শুনতেই হবে আমাদের দাবি। আমাদের বিক্ষোভ চলবে’’। মনজিত রাই বলেছেন, ‘‘১৩ জানুয়ারি লোহরি কর্মসূচি রয়েছে। যেখানে আমরা এই তিন কৃষি আইনের কপিগুলো পোড়াবো। ১৮ জানুয়ারি সকলকে বিক্ষোভে সামিল হতে আহ্বান জানাচ্ছি। পাঞ্জাব সরকারকে বলতে চাই, তারা যদি লাঠিচার্জ ও পুলিশি পদক্ষেপ থেকে বিরত না থাকে, তাহলে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হবে। আমরা বিজেপি ও কংগ্রেস, দু’জনেরই বিরুদ্ধে। এটা কৃষকদের সমস্য়া’’।
আরও পড়ুন: পাঁচ বছর ঘুরেও মিলল না প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা, মোদীর রাজ্যে আত্মঘাতী কৃষক
সিংঘু সীমানায় বিক্ষোভস্থলে সাংবাদিক বৈঠকে কৃষকনেতারা এর আগে হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, মূল দাবি না মানা হলে, একাধিক পদক্ষেপ করবেন তাঁরা। তঁদের মতে, তাঁদের ইস্য়ুর মাত্র ৫ শতাংশ এখনও পর্যন্ত সরকারের সঙ্গে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে কৃষক নেতা বিকাশ বলেন, ‘‘৪ জানুয়ারির বৈঠকে অচলাবস্থা কাটাতে সরকার ব্য়র্থ হলে, হরিয়ানায় সমস্ত মল, পেট্রোল পাম্প বন্ধ রাখার দিন ঘোষণা করব’’।
অন্যদিকে, কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকের সব প্রস্তুতি সেরে রেখেছেন কৃষি মন্ত্রকের আধিকারিকরা। এক আধিকারিক জানান, বৈঠক নিয়ে সরকার খুবই সিরিয়াস।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন