Delhi Pollution: দূষণের চাদরে ঢাকা পড়েছে দিল্লি-সহ জাতীয় রাজধানী এলাকা। বাতাসের দূষণমাত্রা ৪০০ পার করেছে। এই আবহে নতুন করে লকডাউনের ভাবনাচিন্তা করছে দিল্লি সরকার। বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল-কলেজ। সেই পথে হেঁটেই এবার স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল দিল্লি লাগোয়া হরিয়ানা। ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের সব সরকারি এবং বেসরকারি স্কুল বন্ধ থাকবে। রবিবার নোটিফিকেশন দিয়ে জানিয়েছে হরিয়ানার মুখ্যসচিব বিজয় বর্ধন। তাতে উল্লেখ, ‘এই ৩-৪ দিন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে স্কুল খোলার পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।‘ জাতীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সাম্প্রতিক রিপোর্টে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা, শুধু জাতীয় রাজধানী নতুন দিল্লি নয়, দূষণের চাদরে ঢাকা পড়েছে গুরগাঁও, ফরিদাবাদ, শোনপত, এবং ঝাঁজর।
এদিকে হরিয়ানা সরকারের নোটিফিকেশনে উল্লেখ, 'সরকারি এবং বেসরকারি দফতরকে যতটা সম্ভব ওয়ার্ক ফ্রম হোমে যেতে হবে। আগামি কয়েকদিনের মধ্যে হরিয়ানার রাস্তায় ৩০% গাড়ির যাতায়াত এবং বায়ুতে ধুলোকনার প্রভাব কমাতে এই উদ্যোগ। পাশাপাশি ১০-১৫ বছরের পুরনো গাড়ি যত্রতত্র পুলিশি অভিযানের মুখে পড়তে পারে। আপাতভাবে রাজ্যজুড়ে সব ধরনের নির্মাণকাজ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।‘
দীপাবলি, ছটপুজো মিটতেই দিল্লিতে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। বায়ুদূষণে প্রাণ ওষ্ঠাগত রাজধানীর। দমবন্ধ হয়ে আসছে সাধারণ মানুষের। গত পাঁচ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে দূষণ। এই পরিস্থিতিতে এক সপ্তাহের জন্য় স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল দিল্লি সরকার।
শনিবার মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়ে দেন, এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ থাকবে স্কুল। অফিস-কাছারিও বন্ধ থাকছে। বাড়ি থেকেই কাজ করতে হবে কর্মীদের। সেইসঙ্গে আগামী চারদিন বন্ধ থাকবে নির্মাণ শিল্পের কাজকর্ম।
কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, সরকারি কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করতে হবে। তবে স্কুল বন্ধ থাকলেও পঠনপাঠন চালু থাকবে। অনলাইনে ক্লাস চলবে পড়ুয়াদের। এদিন দিল্লির দূষণ পরিস্থিতি নিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরেই এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, ১৪ নভেম্বর থেকে ১৭ নভেম্বর আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, খড় পোড়ানোর জেরে ধোঁয়া থাকবে বাতাসে। বাতাসের গতিও কম থাকবে। ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। এই কয়েকদিন সমস্ত রকম নির্মাণ কাজকর্ম বন্ধ থাকবে দিল্লিতে। বেসরকারি সংস্থাগুলিকে মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হোক।
এদিন, সুপ্রিম কোর্টের তরফে দিল্লি সরকারকে দূষণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য লকডাউনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেটাকে মাথায় রেখে কেজরির বক্তব্য, “আদালত সম্পূর্ণ লকডাউনের পরামর্শ দিয়েছে। আমরা লকডাউনের গুরুত্ব বুঝি। এটা কারও দিকে আঙুল তোলার সময় নয়। আমাদের লক্ষ্য হল দূষণের বাড়বাড়ন্তকে নিয়ন্ত্রণে আনা। শহরে একটা আপৎকালীন পরিস্থিতি তৈরি করা।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন