হরিয়ানার ফতেহাবাদ জেলার তোহানায় প্রায় ১২০ জন মহিলাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল হরিয়ানার ষাটোর্ধ্ব এক তান্ত্রিকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ওই তান্ত্রিকের নাম বাবা অমরপুরী ওরফে বিল্লু। বৃহস্পতিবার ধর্ষণের অভিযোগে অমরপুরীকে গ্রেফতার করে পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে।
একটি মন্দিরে সেবায়েতের কাজ করত অমরপুরী। অভিযোগ, মন্দিরে আসা মহিলা ভক্তদের সমস্যার সমাধানের অছিলায় তাঁদের ওপর যৌন নির্যাতন চালাত এই ব্যক্তি। এবং ধর্ষণের সেই ভিডিও রেকর্ডও করে রাখত অমরপুরী। পরে সেই ভিডিও দেখিয়ে মহিলাদের ব্ল্যাকমেল করে টাকা আদায়ের চেষ্টা করত সে। সম্প্রতি এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এরপর মন্দিরের মধ্যে অমরপুরীর থাকার জায়গায় অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকেই উদ্ধার হয় প্রায় ১২০টি ধর্ষণের ভিডিও ফুটেজ। প্রত্যেকটি ভিডিও ফুটেজই ভিন্ন ভিন্ন মহিলাদের ছিল বলে দাবি পুলিশের।
ফতেহাবাদের পুলিশ ইন্সপেক্টর বিমলা দেবী বলেন, "ওই তান্ত্রিকের মোবাইল ফোন থেকে ভিডিও উদ্ধার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই দুজনের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছি আমরা, আশা করছি এই কেসের বয়ান দিতে আরও অনেকেই এগিয়ে আসবেন।" ফতেহাবাদের আরও এক পুলিশ অফিসার দীপক সাহরাণ জানিয়েছেন, প্রতিটা ভিডিও ক্লিপ যাচাই করতে ইতিমধ্যেই সাইবার ক্রাইম সেলের কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, কয়েকমাস আগে আরও একটি ধর্ষণের মামলা রুজু হয়েছিল এই তান্ত্রিকের বিরুদ্ধে। দীপক সাহরাণ জানান, সেই বার এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীর ধর্ষণের অভিযোগ জানিয়েছিলেন। মন্দিরের ভিতরে ধর্ষণ করা হয়েছিল ওই মহিলাকে। অমরপুরীর পরিবার তার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, তাঁদের দাবি, ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে তাকে।