হরিয়ানায় ১লা ফেব্রুয়ারি থেকেই খুলছে সরকারি এবং বেসরকারি স্কুল। রাজ্যে সব পরিষেবা স্বাভাবিক থাকা সত্ত্বেও কেন স্কুলগুলি খোলা হচ্ছে না, এই মর্মে একাধিক আন্দোলন হয়েছে রাজ্যে। এবার করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতেই স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর।
এপ্রসঙ্গে হরিয়ানার শিক্ষামন্ত্রী কানওয়ার পাল গুর্জার বলেছেন, “আমরা আগের মতো কোভিড নিয়ম মেনে দশম থেকে দ্বাদশ মানের জন্য ক্লাস শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অনলাইন ক্লাসও চালু থাকবে তবে যারা স্কুলে আসতে চান তারা সেখানেও ক্লাস করতে পারেন। ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী ৭৫ শতাংশ শিশুকে ইতিমধ্যে টিকা দেওয়া হয়েছে। আমি মনে করি তারা এখন অনেক নিরাপদ। অন্যথায়, করোনা মহামারী নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”
গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকটি নাগরিক সংগঠনের তরফে স্কুল খোলার দাবই জানানো হয়। তাদের যুক্তি, রাজ্যে রাজনৈতিক সভা সমাবেশ জারি রয়েছে, খোলা রয়েছে রেস্তরাঁ, নাইটক্লাব, পানশালা তাহলে স্কুল খুলতে সমস্যা কোথায়? ইতিমধ্যেই স্কুল খোলার দাবিতে সরব হয়েছেন বিভিন্ন বেসরকারি স্কুল প্রতিষ্ঠানগুলিও।
ফেডারেশন অফ প্রাইভেট স্কুল’স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সভাপতি কুলভূষণ শর্মা বলেছেন, “গত দুই বছর ধরে স্কুলগুলি বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সমস্ত উন্নত দেশ ইতিমধ্যেই তাদের স্কুল খুলেছে।”
তবে কি চাপের মুখে নতিস্বীকার করল রাজ্যসরকার? এপ্রসঙ্গে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী জানান, সরকারের ওপর কোন চাপ ছিলনা। এ বিষয়ে বেসরকারি স্কুলের সংগঠন এখন পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে কোন আলোচনা করেনি। শিশুদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় আমাদের স্কুল খোলার বিষয়টি ভাবনা-চিন্তা করা উচিত। এখন আমরা মনে করি যে তাদের ৭৫ শতাংশ টিকা দেওয়ার কারণে শিশুরা নিরাপদ। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে, আমরা ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণীর জন্যও স্কুল পুনরায় খোলার কথা বিবেচনা করতে পারি।”