Advertisment

বন্ধ ইন্টারনেট, কৃষকদের আন্দোলনে শামিল করতে মন্দিরের লাউড স্পিকারই ভরসা

'আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ১০০টি গ্রামের কোনও সামাজিক অনুষ্ঠানে বিজেপি-জেজেপি যত সরকারের কোনও মন্ত্রী বা নেতাদের আমন্ত্রণ করব না'

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update

ইন্টারনেট বন্ধের মোকাবিলায় লাউড স্পিকার ব্যবহার। এই অভিনব পদ্ধতিতে কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলনের বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছতে উদ্যোগী খাপ পঞ্চায়েত। হরিয়ানায় ১৭টি জেলায় ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশ ছিল। সেই নির্দেশ আরও বাড়ানো হয়েছে। তাই আন্দোলনের রূপরেখা গ্রামবাসীদের কাছে পৌঁছতে মন্দিরের লাউড স্পিকারকে মাধ্যম করছে সে রাজ্যের ১৭টি খাপ পঞ্চায়েত।

Advertisment

এই নিয়ে সম্প্রতি ১৭টি খাপের একটি মহাপঞ্চায়েত আলোচনায় বসেছিল। ৩০৬টি গ্রাম নিয়ে একটা কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি কৃষি আন্দোলনের বার্তা মানুষ পর্যন্ত পৌঁছতে সদর্থক ভূমিকা নেবে। এমনটাই সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিশেষ করে ধর্নাস্থল থেকে কৃষকদের জোর করে তুলতে প্রশাসন উদ্যত হলে সক্রিয় হবে এই কমিটি। এমনটাই সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, জিন্দ-পাটিয়ালা হাইওয়ের খাটকর টোল প্লাজায় এই পঞ্চায়েত বসেছিল। যাতে প্রচুর সংখ্যক মহিলার উপস্থিতি চোখে পড়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতের অন্ধকারে দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমান্তের গাজিপুরে পুলিসি আগ্রাসনের অভিযোগ এসেছিল। গাজিপুরের ধর্নাস্থল থেকে কৃষকদের হঠাতে বলপ্রয়োগ করেছে পুলিশ। এমনটাই অভিযোগ। তারপরেই এভাবে পুলিসি আগ্রাসন রুখতে নড়েচড়ে বসে খাপ পঞ্চায়েতগুলো। এই পদক্ষেপ প্রসঙ্গে এক খাপ সদস্য বলেছে, 'যখনই খবর পাবো পুলিশ ধর্না-অবস্থান তুলতে বলপ্রয়োগ করছে, আমরা লাউড স্পিকারের মাধ্যমে গ্রামবাসীদের সতর্ক হতে আবেদন করব। প্রয়োজনে বড় জমায়েত করে পথ অবরোধ হবে। অবিলম্বে ইন্টারনেট না ফেরালে প্রবল অসুবিধায় পড়বে পড়ুয়ারা। তাদের অনলাইন ক্লাস পরভাবিত হবে।

খাপ মহাপঞ্চায়েতের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ওই সদস্য বলেন, 'আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ১০০টি গ্রামের কোনও সামাজিক অনুষ্ঠানে বিজেপি-জেজেপি যত সরকারের কোনও মন্ত্রী বা নেতাদের আমন্ত্রণ করব না। যতদিন কৃষক আন্দোলন চলবে, আর কৃষি আইন প্রত্যাহার না হবে এই বয়কট চলবে।'

haryana Farmers Movement khap-panchayat
Advertisment