দেশব্যাপী যখন অক্সিজেনের হাহাকার, তখন দিল্লির বিরুদ্ধে অক্সিজেন চুরির অভিযোগ তুললেন হরিয়ানার মন্ত্রী। বুধবার হরিয়ানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, ‘ফরিদাবাদ যাওয়ার পথে রাজ্যের ট্যাংকার থেকে অক্সিজেন চুরি করেছে দিল্লি সরকার।‘ জানা গিয়েছে, তাই বড় কোনও অপ্রীতিকর অবস্থা এড়াতে এবার থেকে অক্সিজেন ট্যাংকার হরিয়ানা পুলিশ এসকর্ট করে নিয়ে যাবে। এই মর্মেই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।
ধারাবাহিক ট্যুইটে ভিজ লেখেন, ‘ফরিদাবাদ হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহের জন্য পাঠানো হলে দিল্লি সরকার সেটা আটকায় এবং অক্সিজেন বের করে নেয়।‘ তাঁর ট্যুইটের সঙ্গে একটা ভিডিও বার্তা পোস্ট করেছেন অনিল ভিজ। সেই বার্তায় দাবি, ‘আমি জানতে পেরেছি দিল্লিতে মঙ্গলবার কিছু লোক অক্সিজেন ট্যাংকার থামিয়েছিল। সেই ট্যাংকার ফরিদাবাদের একটা হাসপাতালে যাচ্ছিল। যদি এভাবে কোনও সরকার অক্সিজেন চুরির চেষ্টা করে তাহলে বড়সড় সঙ্কট তৈরি হবে। এটা নিন্দনীয়।‘
এদিকে, করোনা পরিস্থিতির জেরে দেশের সর্বত্র অক্সিজেনের চাহিদা বেড়ে গিয়েছে। হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেনের অভাবে রোগীদের চিকিৎসা অনেক ক্ষেত্রেই ব্যাহত হচ্ছে। এই অবস্থায় মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল নাসিকের একটি হাসপাতালে। আচমকা অক্সিজেনের ট্যাঙ্কার লিক করায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল অন্তত ২২ জন করোনা রোগীর। বুধবার এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় মহারাষ্ট্রে।
সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, অক্সিজেনের একটি ট্যাঙ্ক লিক করে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটে নাসিকের এক হাসপাতালে। ডা. জাকির হোসেন হাসপাতালে একটি ট্যাঙ্কারে গ্যাস ভরার সময় লিক করে যায়। এর ফলে ঘটে যায় ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। হাসপাতাল ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা দ্রুত ঘটনা স্থলে পৌঁছান। ইতিমধ্যেই ওই হাসপাতাল থেকে ২২ জন করোনা রোগীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যা।
মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী ড. রাজেন্দ্র সিংগানে জানিয়েছেন, “এটি একটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত ২২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। ঘটনাটি কীভাবে ঘটল তার আমরা পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চেয়েছি। ঘটনার তদন্ত হবে। যে বা যারা এই ঘটনার জন্য দায়ী তাদের কাউকে ছাড়া হবে না।”