টানা ১২ দিন নিখোঁজ থাকার পর হাইওয়ের কাছে উদ্ধার হল গায়িকার মাটি চাপা দেহ। সোশ্যাল মিডিয়ায় অতি পরিচিত মুখ এই গায়িকা হামেশাই ইউটিউবে তাঁর মিউজিক ভিডিও আপলোড করতেন। গত ১১ মে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। তারপর থেকেই তাঁর খোঁজ মিলছিল না। অবশেষে বছর ২৬-এর ওই গায়িকার দেহ পাওয়া গেল হরিয়ানার রোহতক জেলায় হাইওয়ের কাছে। দিল্লির বাসিন্দা ওই গায়িকাকে অপহরণ করে খুন করা হয়েছে বলেই তাঁর পরিবারের অভিযোগ।
এই ঘটনায় পরিবারের লোকজন দিল্লি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম অনিল ও রবি। দু'জনেরই বয়স ২০-র আশপাশে। অভিযুক্তরা ওই গায়িকার চেনা-পরিচিত বলেই তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের পরই উদ্ধার হল গায়িকার মৃতদেহ। দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার জানিয়েছেন, 'তদন্তে নেমে আমরা দেখতে পাই, অভিযুক্তদের মধ্যে রবির বিরুদ্ধে ওই গায়িকা আগে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। অভিযুক্ত রবি একটি ফিনান্স কোম্পানিতে কাজ করে। থাকে মাহিম এলাকায়। আগে তাঁর সঙ্গে ওই গায়িকার বন্ধুত্ব ছিল।'
আরও পড়ুন- দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স, স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বরখাস্ত করলেন মুখ্যমন্ত্রী
পুলিশ জানিয়েছে, দেহ উদ্ধারের পর গায়িকার পরিবারের লোকজনকে খবর দেওয়া হয়। ময়নাতদন্তের পর দেহ তুলে দেওয়া হয়েছে পরিবারের লোকজনের হাতে। এর মধ্যেই 'ভীম আর্মি' সংগঠনের লোকজন পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। 'ভীম আর্মি' সংগঠনের ওই সদস্যরা নিহত গায়িকার পরিবারের পরিচিত। বিক্ষোভকারীরা দ্বারকা থানায় এসে হাজির হয়। অভিযোগ করতে থাকে, ওই গায়িকা গণধর্ষণ করে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। সেই অভিযোগ পুলিশকে নথিভুক্ত করতে হবে। পালটা পুলিশের পক্ষ থেকে বিক্ষোভকারীদের জানানো হয়, 'যা কিছু হবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী। এখনও পর্যন্ত রিপোর্টে ধর্ষণের কথা বলা হয়নি। তাছাড়া তদন্ত চলছে। অভিযুক্তরা পুলিশের হেফাজতে আছে। তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ীই, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা হবে।'
Read full story in English