১৯৮৭ সালের হাশিমপুর গণহত্যা কাণ্ডে ১৬ জন প্রভিশনাল আর্মড কনস্টেবুলারি সদস্যের যে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তার বিরুদ্ধে যোগী সরকারকে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার আর্জি জানাল অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা।
অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভার জাতীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট অশোক শর্মা এবং অন্য নেতারা মিরাটের জেলাশাসক অনিল ধিংড়ার কাছে এক চিঠি দিয়ে বলেছেন, পিএসি-র জওয়ানরা নির্দোষ এবং তাঁদের ফাঁসানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন, ১৯৮৭-র হাশিমপুর মুসলিম গণহত্যায় ১৬ জন পিএসি কর্মীকে দোষী সাব্যস্ত করল দিল্লি হাইকোর্ট
বাবরি মসজিদের তালা খোলার অব্যবহিত পরে গোটা মিরাট জুড়ে দাঙ্গা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সে সময়ে, ১৯৮৭ সালের ২২ মে, পিএসি-র একটি দল হাশিমপুরা এলাকায় ৪০ জন মুসলিম পুরুষকে জড়ো করে তাঁদের উপর গুলি চালায়। এ ঘটনায় মারা যান ৩৮ জন। গত মাসে দিল্লি হাইকোর্ট, নিম্ন আদালত ১৬ জন পিএসি কর্মীকে খালাস করার রায় খারিজ করে দেয়। সাজা ঘোষণার সময় আদালত বলেছিল, ‘‘এটি হেফাজতে মৃত্যুর আরও একটি ঘটনা যেখানে আইনি ব্যবস্থা মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের আইনের আওতায় আনতে পারেনি।
অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা তাদের আবেদনে অভিযোগ করেছে মিরাটে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় অহিন্দুরা সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে ১৭২ জন হিন্দুকে খুন করেছে, কিন্তু কোনও তদন্ত হয়নি। এদিকে পিএসির নির্দোষ কর্মীদের বলিরা পাঁঠা বানানো হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে অশোক শর্মা জানিয়েছেন, ‘ এই নির্দোষ পিএসি কনস্টেবলদের ন্যায়বিচারের জন্য গোরখনাথ পীঠের বর্তমান উত্তরাধিকারী, যিনি এখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও বটে, যাতে তাঁর সরকারি ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন, আমরা সে ব্যাপারে আবেদন করেছি।’’
অশোক শর্মা আরও জানিয়েছেন, ‘‘গোরখনাথ পীঠ হিন্দুদের রক্ষার জন্য স্থাপিত হয়েছিল এবং এখন তার প্রতিনিধি যোগী আদিত্যনাথ। তাঁর প্রাথমিক কর্তব্য হল এই পিএসি কনস্টেবলদের রক্ষা করা।’’
জেলাশাসক তাঁদের আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন অশোক শর্মা।
Read the Full Story in English