হাথরাসে গণধর্ষণ ও নির্মম অত্য়াচারে দলিত তরুণীর মৃত্য়ুর ঘটনায় নয়া মোড়। এ ঘটনা ঘিরে বিক্ষোভ প্রদর্শনের জেরে ৫০০ জনেরও বেশি কংগ্রেস কর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হল। গত সপ্তাহে হাথরাসকাণ্ডের প্রতিবাদে উত্তপ্ত হয়েছিল দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমানায় নয়ডা এলাকা। জানা যাচ্ছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮, ২৬৯, ২৭০ ও অতিমারী বিপর্যয় আইনের ৩নং ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য়, গত সপ্তাহে হাথরাসে নির্যাতিতার বাড়ি যাওয়ার পথে রাহুল গান্ধীকে ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে। গ্রেটার নয়ডায় ঢোকার মুখে রাহুল-প্রিয়াঙ্কার কনভয় আটকায় পুলিশ। ধস্তাধস্তিতে মাটিতে পড়ে যান রাহুল। এরপরের দিন হাথরাস যাওয়ার পথে একই কায়দায় বাধার মুখোমুখি হন তৃণমূলের ডেরেকরা।
আরও পড়ুন: হাথরাসকাণ্ড: ফরেন্সিক ল্যাবরেটরির রিপোর্ট ‘মূল্যহীন-বিশ্বাসযোগ্য নয়’, দাবি চিকিৎসকের
অন্য়দিকে, কংগ্রেস কর্মীদের পাশাপাশি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে ভীম সেনা প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ ও আরও ৪০০ জনের বিরুদ্ধে। রবিবার হাথরাসে নির্যাতিতার গ্রামে যাওয়ার জন্য় ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করার দায়ে তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। একইসঙ্গে অতিমারী বিপর্যয় আইনেও মামলা রুজু করা হয়েছে বলে খবর। হাথরাসের ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন আজাদ। সেইসঙ্গে নির্যাতিতার পরিবারকে নিরাপত্তা প্রদানের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে, হাথরাসের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর নিরবতা নিয়ে এদিন সোচ্চার হয়েছেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। টুইটারে বহরমপুরের সাংসদ লিখেছেন, ''সমস্ত ঘটনায় মোদীজি সরব হতেন। কিন্তু এরকম একটা হৃদয় বিদারক ঘটনার পরও চুপ করে রয়েছেন। মোদীজির কী হল? কোথায় আপনার 'সবকা সাথ সবকা বিকাশ সবকা বিশ্বাস'? হাথরাসের পর ভন্ডামি বেরিয়ে পড়েছে''।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন