SIT submits Hathras stampede report officers suspended: উত্তরপ্রদেশের হাথরসে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় রিপোর্ট জমা দিল দুই সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল (এসআইটি)। মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে সিট তাদের রিপোর্ট জমা দিয়েছে। গত, ২ জুলাই, ১২১ জন হাথরসে পদপিষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন। সেই প্রাণহানির জন্য সংগঠক, স্থানীয় পুলিশ এবং প্রশাসনকে রিপোর্টে দায়ী করেছে সিট।
সাসপেন্ড হওয়া আধিকারিকরা
ওই পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার ছয় আধিকারিককে সাসপেন্ড করেছিল। তার মধ্যে মহকুমাশাসকও রয়েছেন। এছাড়াও সাসপেন্ড করা হয়েছে সার্কেল অফিসার, বিডিও, স্থানীয় থানার পুলিশকর্তা এবং স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির দুই ভারপ্রাপ্ত কর্তাকেও। তাঁরা হলেন- এসডিএম রবীন্দ্র কুমার, সার্কেল অফিসার আনন্দ কুমার, স্টেশন হাউস অফিসার আশিস কুমার, তহসিলদার সুশীল কুমার, কচোড়ার চৌকি ইনচার্জ মনবীর সিং এবং পোড়ার চৌকি ইনচার্জ ব্রিজেশ পাণ্ডে।
রিপোর্টে ধর্মগুরুকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়নি (SIT report)
৮৫৫ পৃষ্ঠার সিট রিপোর্টে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে 'গডম্যান' সুরজ পাল ওরফে ভোলে বাবা বা নারায়ণ সাকার হরির নামের উল্লেখ করা হয়নি। আর, এই কারণেই সিটের রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অথচ, এই ভোলে বাবাই হাথরসের ধর্মীয় অনুষ্ঠানটির মূল উদ্যোক্তা তথা সংগঠক। তাঁর ওই অনুষ্ঠানেই ১২১ জন পদপিষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন। আহত হয়েছেন অসংখ্য ভক্ত। সুরজ পাল অতীতেও এমন ধর্মীয় অনুষ্ঠান করেছেন। ধর্মীয় অনুষ্ঠানের নাম দিতেন সৎসঙ্গ।
সুরজ পালের ভোলবদল
আগে ছিলেন পুলিশ কনস্টেবল। সেখান থেকে ধর্মপ্রচারক হয়ে যান সুরজ পাল। ঘটনার পর তদন্তকারীরা বলেছিলেন, নিহত ও আহতদের বেশিরভাগই মহিলা। সুরজ পাল হেঁটে যাওয়ার পর, ওই মহিলারা যে মাটি দিয়ে সুরজ পাল হেঁটেছেন, সেই এবড়োখেবড়ো মাটি সবার আগে সংগ্রহের চেষ্টা করেছিলেন। তখনই হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনাটি ঘটে বলে তদন্তকারীদের দাবি ছিল।
আরও পড়ুন- ভারতের সঙ্গে নতুন সম্পর্কে রাশিয়া? মোদীর পথ চেয়ে আকুল পুতিন
সিট গঠন
পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনার পরপরই অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিচালক (আগ্রা জোন) অনুপম কুলশ্রেষ্ঠ ও বিভাগীয় কমিশনার (আলিগড়) চৈত্র পঞ্চম-এর নেতত্বাধীন দুই সদস্যের এসআইটি (সিট) গঠন করা হয়েছিল। সিটের সদস্যরা ২, ৩ এবং ৫ জুলাই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। উত্তরপ্রদেশের সরকারি আধিকারিকরা বলেছেন যে তদন্তের সময় প্রশাসনিক কর্তা, পুলিশকর্তা, জনসাধারণ, প্রত্যক্ষদর্শী-সহ ১২৫ জনের থেকে বিবৃতি নেওয়া হয়েছিল। সিটের সদস্যরা রিপোর্ট তৈরির আগে সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর, ঘটনাস্থলের ভিডিওগ্রাফি, ফটোগ্রাফ এবং ক্লিপগুলোর পর্যালোচনা করেছেন।
আদিত্যনাথের বক্তব্যেই ঘুরিয়ে সিলমোহর
ঘটনার পরপরই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এই ঘটনার পিছনে গভীর ষড়যন্ত্রের সম্ভাবনা থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। সিট, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর বলে ফেলা সেই ষড়যন্ত্রের সম্ভাবনাকেও উড়িয়ে দেয়নি।