যার বিরুদ্ধে নিগ্রহের অভিযোগ, তাঁকেই বাবাকে গুলি কর হত্যা করতে দেখেছেন তরুণী। এবার তাই ঝুঁকি না নিয়ে পরিবারকে বাঁচাতে সঙ্গে বন্দুক রাখতে উদ্যোগ নিলেন হাথরাসের (Hathrash) নিগৃহীতা। উত্তর প্রদেশ (UP) সরকার যাতে তাঁকে বন্দুক রাখার লাইসেন্স দেয়, সেই আবেদন করেছেন ওই তরুণী। সেই তরুণীর পরিবারের অভিযোগ, ‘দিনে দুপুরে গুলি করে খুন করেও অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন অভিযুক্ত গৌরব শর্মা।‘ এই গৌরবের বিরুদ্ধেই ২০১৮ সালে মেয়ের শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছিলেন নিগৃহীতা তরুণীর বাবা। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলও হয় গৌরবের।তারপর জামিন পেয়ে গেলেও, দুই পরিবারের অশান্তি ছরমে ওঠে। যার ফলশ্রুতি মুল অভিযুক্ত গুলি করে খুন করে নির্যাতিতার বাবকে। সেই নৃশংসতায় শিউরে উঠেছে গোটা দেশ। ঘটনার ভয়াবহতা অনুধাবন করে পুলিশকে কড়া পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যানাথ। এই ঘটনায় ৪ হন গ্রেফতার হলেও এখনও পলাতক গৌরব।
কিন্তু তারপরেও অধরা গৌরব। তাই ফের ফিরে এসে পরিবারকে আক্রমণ করতে পারে সেই অভিযুক্ত, এই আশঙ্কায় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বন্দুক রাখতে চেয়ে আবেদন করলেন ওই তরুণী। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তরুণীর আবেদন, ‘ঘটনার পর ৫ দিন কেটে গেলেও গৌরব এখনও অধরা। সে ফিরে এসে ফের পরিবারের ওপর আক্রমণ করলে তখন কী হবে? এখন পুলিশি পাহারা আছে, কিন্তু পরে তা তুলে নেওয়া হলে কে বাঁচাবে? তাই আত্মরক্ষার্থে আমাকে বন্দুক রাখার অনুমতি দেওয়া হোক।
ঠিক কী হয়েছিল? যৌন নিগ্রহের অভিযোগে গ্রেফতার গৌরব শর্মা নির্যাতিতার বাবাকে গুলি করে খুন করে সোমবার। ২০১৮ সালে গৌরব হাথরাসের এক তরুণীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিল। মাস খানেক জেল খাটার পর জামিন মুক্তি পায় সে। তারপরই এই নৃশংস ঘটনা ঘটল।
পুলিশ সূত্রে খবর, শ্লীলতাহানির ঘটনায় অভিযুক্ত ও নির্যাতিতার দুই পরিবারের মধ্যে টানাপোড়েন চলছিল অনেক দিন ধরে। সোমবার বিকেলে স্থানীয় একটি মন্দিরের সামনে দুই পরিবারের মধ্যে বাদানুবাদ চলছিল। বচসা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে সেই সময় গৌরব নির্যাতিতার বাবাকে গুলি করে খুন করে বলে অভিযোগ। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। এই ঘটনায় গৌরবের পরিবারের এক সদস্য-সহ গ্রেফতার চার।