স্ত্রীকে মাসিক পাঁচ হাজার টাকা খোরপোষ দিতে পারবেন না, এই মর্মে পঞ্জাব-হরিয়ানা হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন এক ব্যাক্তি। টাকার বদলে দুধ, ঘি, খাদ্যশস্য এবং পোশাক আশাক দেওয়ার আর্জি মেনে নিল আদালত।
ভিওয়ানিবাসী ওই ব্যক্তিতে পরিবার আদালত নির্দেশ দিয়েছিল স্ত্রীকে মাসিক ৫০০০ টাকার খোরপোষ দেওয়ার। আদালতের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ব্যক্তি হাইকোর্টে বলেন এই মুহূর্তে বেকার হওয়ার দরুন ওই পরিমাণ অর্থ খোরপোষ দেওয়ার সামর্থ্য তাঁর নেই।
আবেদনকারীর আইনজীবী আদালতে জানায় ওই ব্যাক্তি নগদ ৫০০০ টাকার পরিবর্তে মাসিক ২০ কেজি চাল, ৫ কেজি চিনি, ৫ কেজি ডাল, ১৫ কেজি গম, ৫ কেজি বিশুদ্ধ ঘি আর দৈনিক ২ লিটার দুধ দিতে পারবেন স্ত্রীকে। সঙ্গে প্রতি তিন মাসে তিন সেট পোশাক। ১৫ জুলাই বিচারপতি রাজশেখর অত্রির বেঞ্চ আবেদনকারীকে লিখিত ভাবে তিন দিনের মধ্যে এই প্রস্তাবের কথা স্ত্রীকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জেএনইউতে পড়বেন সেখানকারই নিরাপত্তারক্ষী
পরিবার আদালত গত বছর মে মাসে ওই ব্যক্তিকে তাঁর স্ত্রীকে ৫০০০ টাকা খোরপোষ দেওয়ার নির্দেশ দেন। সঙ্গে লিটিগেশন চার্জ হিসেবে ১১ হাজার টাকা। ব্যাক্তির স্ত্রী জানিয়েছিলেন ওই ব্যাক্তি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত, মাসিক আয় ৪০০০০ টাকা। স্বামীর যুক্তি ছিল তাঁর স্ত্রী খুবই 'ঝগড়ুটে' এবং স্ত্রী নিজেই অশান্তি করে বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন। বাড়িতে বয়স্ক বাবা-মা, দুই সন্তানের দেখভালের দায়িত্ব তাঁর ওপরেই, আদালতে জানিয়েছিলেন ব্যাক্তি। সঙ্গে এও জানান, তিনি যে সংস্থায় কর্মরত ছিলেন, ২০১৬ সাল থেকে সংস্থাটি বন্ধ হওয়ায় তিনি বেকার।
ওই দম্পতির বিয়ে হয়েছিল ২০০৭ সালে। কিন্তু স্ত্রীর তরফে একাধিকবার পণের দাবিতে হেনস্থার অভিযোগ আনা হয় স্বামী এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে।
আইনজীবী অমিত মেহরা এই বিষয়ে জানিয়েছেন, "বিষয়টি বিচারাধীন। বাড়তি মন্তব্য করা আমার উচিত নয়। তবে ওই ব্যাক্তি খোরপোষের টাকা দিতে অক্ষম, তাই অন্যান্য সামগ্রী দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আইনের ভাষায় একে ভরণপোষণ বলে"।
Read the full story in English