প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধি হত্যার ঘটনায় যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত নলিনী শ্রীহরনকে সশরীরে আদালতে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি দিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। আগামী ৫ জুলাই দুপুর ২টো ১৫ মিনিটে আদালতে উপস্থিত হবেন নলীনি। মেয়ের বিয়ের প্রস্তুতির জন্য ৬ মাসের ছুটি প্রার্থনা করবেন তিনি।বিচারপতি এম এম সুন্দরেশ এবং বিচারপতি এম নির্মল কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ নলীনিকে ওই অনুমতি দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর হত্যার ঘটনায় গত ২৭ বছর যাবত জেলে রয়েছেন নলিনী। সম্প্রতি তিনি মেয়ের বিয়ের প্রস্তুতির জন্য ৬ মাসের ছুটির জন্য আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে তাঁকে সশরীরে আদালতে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। নলিনীর যুক্তি, যাবজ্জীবন কারাদন্ড দন্ডিত একজন বন্দী প্রতি দু-বছরে একবার ৩০ দিনের ছুটি পেতে পারেন। কিন্তু গত ২৭ বছরে তিনি একবারও এমন কোনও ছুটি নেননি। সেই বিষয়টি বিবেচনা করে মেয়ের বিয়ের জন্য তাঁকে ৬ মাসের ছুটি দেওয়া হোক। গত ২২ মার্চ নলিনীর মা-ও কারা কর্তৃপক্ষের কাছে একই আবেদন করেছিলেন। তাঁর আর্জি নামঞ্জুর হওয়ায় তিনি হাইকোর্টের দারস্থ হন।
রাজীব গান্ধি হত্যার ঘটনায় প্রথমে নলিনীকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়েছিল। পরে, ২০০০ সালে তামিলনাড়ু সরকার তাঁর যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দেয়। নলিনীর দাবি, তাঁর যাবজ্জীবন কারাদন্ডের পর ১০ বছরের উপর জেলে থাকা প্রায় ৩৭০০ বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে তামিলনাড়ু সরকার।
নলিনী জানিয়েছেন, যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত বন্দীদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে ১৯৯৪ সালে একটি স্কিম তৈরি হয়েছিল। মন্ত্রীদের নিয়ে তৈরি একটি কাউন্সিল তিনি-সহ সাতজন বন্দীর মুক্তির বিষয়ে অনুমোদনও দিয়েছিল। কিন্তু তারপর আর এনিয়ে কোনও অগ্রগতি হয়নি।
এআইএডিএমকে সরকার সম্প্রতি মুরুগান, সান্থান, পেরারিভালান, জয়াকুমার, রবিচন্দ্রন, রর্বাট পায়স, নলীনি- এই সাতজনের মুক্তির বিষয়ে একটি প্রস্তাব নিয়েছে। রাজ্যপালকেও তা পাঠানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী পালানিস্বামী জানিয়েছেন, তাঁর সরকার বন্দীদের মুক্তির বিষয়টি নিয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি আশা করেন, রাজ্যপালও ক্যাবিনেটের প্রস্তাবে সম্মতি দেবেন।