মুম্বইয়ে এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক কর্তাকে খুনের ঘটনায় পুলিশের হাতে মিলল নয়া তথ্য। কুপিয়েই সিদ্ধার্থ সংভি নামে এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের ওই ভাইস প্রেসিডেন্টকে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশের তরফে জানানো হল। সিদ্ধার্থের দেহে ১৩টি কোপানোর ক্ষতচিহ্ন মিলেছে বলে জানাল পুলিশ। সোমবার সকালের দিকে শহরের কল্যাণ এলাকায় এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের ওই ভাইস প্রেসিডেন্টের দেহ উদ্ধার করা হয়।
কল্যাণ এলাকায় সিদ্ধার্থর দেহ শনাক্ত করেন তাঁর বাবা ও ভাই। ওই এলাকায় একটি দেহ মেলার খবর পেয়ে সিদ্ধার্থের বাবা ও ভাইকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশের একটি দল। সিদ্ধার্থের বুক পকেটে পরিচয়পত্র রাখা ছিল। জুতো, বেল্ট ও পরিচয়পত্র দেখেই সিদ্ধার্থকে শনাক্ত করেন তাঁর বাবা ও ভাই। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহটি বিকৃত অবস্থায় পড়েছিল।
গতকাল বিকেলে কেইএম হাসপাতালে সিদ্ধার্থের ময়নাতদন্ত করা হয়। পিছন থেকে প্রথমে তাঁর গলা কাটা হয়। পরে দেহের একাধিক জায়গায় ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয় বলে জানা গিয়েছে। সিদ্ধার্থের ঘাড়েও ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত করতে গিয়ে এক চিকিৎসক জানিয়েছেন যে, সিদ্ধার্থ সংজ্ঞাহীন হওয়ার পরেই তাঁর দেহের অন্য অংশে ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়।
আরও পড়ুন, নিখোঁজ এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক কর্তার দেহ উদ্ধার, ধৃত ১
১৩টি কোপানোর চিহ্নের মধ্যে সিদ্ধার্থের হাতেও কাটা দাগ মিলেছে। হাতে ওই কাটা দাগ দেখে মনে করা হচ্ছে যে, সিদ্ধার্থ প্রথমে আত্মরক্ষার চেষ্টা করেছিলেন। সিদ্ধার্থের যকৃৎ, অন্ত্র ও পায়েও আঘাতের চিহ্ন মিলেছে বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, এ ঘটনা সম্পর্কে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে, সিদ্ধার্থ সংভিকে পরিকল্পিত ভাবেই খুন করা হয়েছে, এবং পেশাগত শত্রুতার জেরেই ওই ব্যাঙ্ক আধিকারিককে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই এ ঘটনায় এক গাড়ি চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেরায় প্রাথমিক ভাবে খুনের কথা স্বীকার করেছে ধৃত, পুলিশ সূত্রে এমনটাই খবর। তবে এ ঘটনার মাস্টারমাইন্ড এখনও অধরা বলে জানা গিয়েছে।