Coroanvirus 3rd Wave: এক বছর আগে শুরু হয়েছে অতিমারি। কিন্তু এর শেষ কোথায় তা জানান নেই কারোর। ধীরে ধীরে যখন আনলক হচ্ছে দেশের নানা প্রান্ত, সেই সময়ই জারি হল করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের সতর্কবার্তা। আগামী এক-দু'মাসের মধ্যে মহারাষ্ট্রেই আছড়ে পড়তে পারে ভাইরাসের ঢেউ এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তবে এবার ভারতে এই করোনার বিস্তারের জন্য দায়ী থাকতে পারে কোভিডের ‘Delta variant’। স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকরা জানান যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় এই প্রজাতির আধিক্যে বাড়বাড়ন্ত হয়েছে দেশে। আগামী দিনে এই ভ্যারিয়েন্টের জন্যই রেকর্ড সংখ্যক আক্রান্ত হতে চলেছে দেশে, এমনই মত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।
আরও পড়ুন,দুর্যোগের মেঘ আকাশে, দিনভর প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস
তৃতীয় ঢেউয়ের জেরে রোগীর সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। ইতিমধ্যেই আসন্ন বিপদের কথা চিন্তা করে মহারাষ্ট্রে টাস্কফোর্স তৈরি করেছে উদ্ধব ঠাকরে সরকার। স্বাস্থ্য আধিকারিকরা বলেছেন, করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা পেরোতে পারে আট লক্ষ। যার মধ্যে ১০ শতাংশ শিশুরা আক্রান্ত হতে পারে।
টাস্কফোর্সের সদস্য ডঃ রাহুল পণ্ডিত বলেন, “এই ঢেউকে কীভাবে সীমিত রাখতে হবে তা আমাদের হাতে রয়েছে। আমাদের অবশ্যই ভিড় জায়গা এড়াতে হবে এবং ডাবল মাস্কিং নিশ্চিত করতে হবে। নিয়ম না মানলে এই ঢেউ আরও বৃহৎ আকার ধারণ করে পারে।"
আরও পড়ুন, করোনার চিকিৎসায় সুগারের ওষুধ কাজ করে কী ভাবে?
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে ভ্যাকসিনের সরবরাহ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছিলেন। ঠাকরে বলেছিলেন যে অতিমারির প্রথম ঢেউ মহারাষ্ট্রে আঘাত হানার পরে রাজ্যের কাছে কোনও সঠিক সুযোগ-সুবিধা ছিল না। তবে এখন স্বাস্থ্য পরিকাঠামো অনেক ভাল। আগস্ট-সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশ কোভিড -১৯ ভ্যাকসিনের ৪২ কোটি ডোজ পাবেন বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাজ্যও এতে উপকৃত হবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন