ফের চিনে করোনার দাপাদাপি শুরু হয়েছে। বিশ্বজুড়ে সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা। পরিস্থিতির উপর নজর রেখে সজাগ রয়েছে ভারত। বিশ্বব্যাপী কোভিড -১৯ সংক্রমণের ক্রমবর্ধমান বিকাশের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য লোকসভায় বিবৃতি পেশ করেন। মাণ্ডব্য বলেছেন, 'কোভিড অতিমারি এখনও সম্পূর্ণ শেষ হয়ে যায়নি। সচেতন থাকতে হবে। তবে দেশের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে এখনই কোনও আতঙ্কের কারণ নেই।' মাস্ক পড়তে জোর দিয়েছেন তিনি।
এ দিন সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা, উপ-রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় এবং আরও বেশ কয়েকজন সাংসদকে মাস্ক রপা অবস্থায় দেখা গিয়েছে। উভয় কক্ষের সদস্যদের মাস্ক পড়তে, স্যানিটাইজার ব্যবহার এবং সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সংসদে কোভিড নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যের বিবৃতি-
- দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগত যাত্রীদের মধ্যে ব়্যান্ডম আরটিপিসিআর স্যাম্পলিংও শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত বিদেশ থেকে আগত ২ শতাংশের এই পরীক্ষা হয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের খবর অনুসারে, ভারতে এখনও পর্যন্ত ৩ জনের শরীরে ওমিক্রন সাব-ভেরিয়ান্ট BF.7-এর হদিশ মিলেছে।
- সব রাজ্যকে সময়মত প্রতিটি কোভিড সংক্রমিতের জিনোম সিকোয়েন্সিং করতে বলা হয়েছে। নতুন ভেরিয়েন্টের সন্ধানে নজরদারি এটি স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সাহায্য করবে। এটি কর্তৃপক্ষকে সর্বোত্তম সতর্কতামূলক পদ্ধতি প্রণয়ন করতে সহায়তা করবে।
- কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন যে, ক্রিসমাস এবং ইংরেজি নববর্ষ সহ আসন্ন উৎসব মরসুমের পরিপ্রেক্ষিতে, রাজ্যগুলিকে সতর্ক হতে এবং মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে বলা হয়েছে। এছাড়া করোনা প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রাখাও পরামর্শ দেওায়া হয়েছে।
- করোনাভাইরাসের ক্রমাগত পরিবর্তনশীল প্রকৃতি বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যের জন্য বিপদ ডেকে আনছে বলে দাবি করেছেন মনসুখ মাণ্ডব্য। তিনি বলেছেন, “গত কয়েক দিন ধরে, বিশ্বে কোভিড সংক্রমণের ঘটনা বাড়ছে, কিন্তু ভারতে আক্রান্তের হার কম। আমরা চিনে ক্রমবর্ধমান কোভিড সংক্রমণ এবং এর কারণে মৃত্যু দেখছি।”
- স্বাস্থ্যমন্ত্রী জনসাধারণকে করোনভাইরাস ভ্যাকসিন এবং বুস্টার শট নেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁর আহ্বান, “স্বাস্থ্য বিভাগ কোভিড -19 মহামারী পরিচালনায় বেশ সক্রিয়। কেন্দ্রীয় সরকার মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাজ্যগুলিকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। এ পর্যন্ত ২২০ কোটি কোভিড ভ্যাকসিন শট দেওয়া হয়েছে।”
- টেকনিক্যাল সহায়তা ছাড়াও, সরকার মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন, রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা তহবিল, জরুরি কোভিড প্রতিক্রিয়া প্যাকেজ এবং প্রধানমন্ত্রী আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো মিশনের মাধ্যমে রাজ্যগুলিকে সহায়তা প্রদান করেছে।