চতুর্থ পর্যায়ের লকডাউন চলছে গোটা দেশে। কিন্তু এখনও অব্যাহত করোনা সংক্রমণ। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দেশে মৃত এবং আক্রান্তের সংখ্যা। রাজ্যেগুলির অবস্থাও তথৈবচ। করোনার থাবায় এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মহারাষ্ট্র। ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। এদিকে করোনা ভাইরাস আবহে দীর্ঘ দু'মাস ব্যাপী বন্ধ থাকার আজ থেকে দেশে চালু হল ঘরোয়া উড়ান পরিষেবা। তবে কেন্দ্রীয় নিয়ম ছাড়াও রাজ্যগুলি নিজেরাও বেশ কিছু নিয়ম লাগু করছে উড়ান পরিষেবার ক্ষেত্রে।
যেমন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নওয়াব মালিক সংবাদসংস্থা এএনআইকে বলেন, "এক দিনে মোট ৫০টি উড়ান ওঠানামা করবে মুম্বাইয়ের ছত্রপতি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। মুম্বাই থেকে ২৫টি ঘরোয়া বিমান যাবে আর ২৫টি বিমান আসবে। আসতে আসতে এই সংখ্যা বাড়ানো হবে। এই সংক্রান্ত সমস্ত নির্দেশিকা পরে প্রকাশ করা হবে।"
তবে এখনও করোনা সংক্রমনের নিরিখে রেড জোনেই রয়েছে মহারাষ্ট্র। তাই বিমানবন্দর খোলা কতটা সমুচীন হবে সে বিষয়ে কেন্দ্রীয় অসামরিক উড়ান পরিবহন মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরির সঙ্গে কথা বলেন উদ্ধব ঠাকরে। অন্যদিকে আমফান বিধ্বস্ত বাংলায় আপাতত বিমান পরিষেবা স্থগিত রাখার আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান যে ২৮ তারিখের পর থেকে কলকাতা এবং বাগডোগরা বিমানবন্দর চালু করা যেতে পারে।
রবিবারই লকডাউনে বিদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের বিশেষ উড়ানে দেশে ফেরার ক্ষেত্রে গাইডলাইন প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় সরকার। দেশে আগত ভারতীয়দের এ ক্ষেত্রে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কোয়ারেন্টিনে থাকার খরচ দিতে হবে যাত্রীকেই। এরপরও তাঁদের ৭ দিনের হোন আইসোলেশনে থাকতে হবে। বিশেষ উড়ানে ওঠার আগেই গাইডলাইন মেনে চলার মুচলেকা যাত্রীদের দিতে হবে।
Health ministry guidelines for passengers. Air, train, bus.
All passengers shall be "advised" to download Aarogya Setu.
Option of home quarantine for those with mild symptoms. States to frame own protocol for quarantine/isolation.
@IndianExpress pic.twitter.com/iNfFKAGt7w— Avishek Dastidar (@avishekgd) May 24, 2020
তবে, প্রসূতি, পরিবারের কারোর মৃত্যু হলে, ১০ বছরের কম বয়সী সন্তান রয়েছে এমন বাবা-মা, সঙ্কটজনক আবস্থার রোগীদের অবশ্য এই গাইডলাইন মানতে হবে না। এক্ষেত্রে যাত্রীদের ১৪ দিন হোম আইসোলেশনে থাকতে বলা হবে। এই পরিস্থিতিতে লকডাউন দেশে যাত্রীদের সুবিধার্থে ভ্রমণে ছাড় দেওয়া হলেও ফের নয়া নির্দেশিকা প্রকাশ করল কেন্দ্র। যেখানে ভ্রমণের সময়ে যাত্রীদের 'আরোগ্য সেতু' অ্যাপ ফোনে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বিমান, ট্রেন, বাসে ভ্রমণের সময় কী কী নির্দেশ মানতে হবে?
* সব যাত্রীকেই আরোগ্য সেতু অ্যাপটি ডাউনলোড করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
* কোভিড ভাইরাসের বিরুদ্ধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা যা গ্রহণ করা হবে বিমানবন্দর, রেল স্টেশন এবং বাস স্টপে, তা মানতে হবে।
* যেভাবেই যাত্রীরা রাজ্যে প্রবেশ করুক না কেন তাঁদের সকলের থার্মাল টেস্টিংয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে সব রাজ্যকেই।
* একমাত্র করোনায় সংক্রমিত নয় এমন ব্যক্তিরাই ভ্রমণের অনুমতি পাবেন।
* ভ্রমণের সময় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। সকল হাইজিনও মেনে চলতে হবে।
* বিমানবন্দর, স্টেশন এবং বাসস্ট্যান্ডে মানতে হবে সামাজিক দূরত্বের নিয়মবিধি।
* যাত্রীরা যে প্রদেশের, সংশ্লিষ্ট সেই রাজ্য সরকারই কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করতে হবে। আইসিএমআর-এর বিধি মেনেই তাঁদের রাখা হবে।
* প্রত্যেকের নমুনা পরীক্ষা হবে। পজিটিভ মিললে চিকিৎসা হবে। মৃদু উপসর্গ থাকলে তাঁদের কোভিড কেয়ার সেন্টারে (সরকারি/বেসরকারি) পাঠানো হবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন