বহু রাজ্যের দাবি মানল কেন্দ্র। এবার গ্রিন, অরেঞ্জ ও রেড জোন চিহ্নিত করতে পারবে রাজ্যগুলিই। তবে, এক্ষেত্রে রাজ্যগুলিকে কেন্দ্রীয় বিধি মানতে হবে। রবিবার বহুমুখী বাস্তবভিত্তিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে জোন ভাগের মানদণ্ড নির্ধারণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। করোনা সংক্রমণ রোধে আজ, সোমবার থেকেই শুরু হয়েছে লকডাউনের চতুর্থ পর্ব।
কোন এলাকায় করোনা সংক্রমণের অ্যাকটিভ কেস, প্রতি লাখে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা, সাত দিনে সংক্রমণ দ্বিগুণের হার, করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হার, প্রতি লক্ষে কত জনের নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে ও পজিটিভ আসছে- তার বিচারেই জোন ভাগ করতে বলা হয়েছে। প্রতিটি মানদণ্ডের ক্ষেত্রেই 'সমালোচনামূলকস্তর' ও 'কাঙ্খিতস্তরের' নির্দেশ রয়েছে। আগে সম্পূর্ণ জেলাকে রেড, অরেঞ্জ বা গ্রিন জোনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, এবার সেই নিয়ম বদলাতে চলেছে। এখন থেকে কোনও নির্দিষ্ট এলাকাকে তিন জোনের কোনও একটির আওতাভুক্ত বলে ঘোষণা করা যাবে। রবিবার প্রকাশিত কেন্দ্রীয় নির্দেশিকায় এই বিষয়টির উল্লেখ রয়েছে।
আরও পড়ুন- শুরু লকডাউন ৪.০- কী করবেন, কী পারবেন না
'রাজ্যগুলি জেলা বা কর্পোরেশন এলাকাকে রেড, গ্রিন বা অরেঞ্জ জোন বলে চিহ্নিত করতে পারবে। রাজ্যগুলি মহকুমা, ওয়ার্ড বা কোনও প্রশাসনিক অঞ্চলকেও নির্দিষ্ট জোনের আওতাধীন বলে চিহ্নিত করতে পারবে। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিধি (কোন এলাকায় করোনা সংক্রমণের অ্যাকটিভ কেস, প্রতি লাখে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা, সাত দিনে সংক্রমণ দ্বিগুণের হার, করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হার, প্রতি লক্ষে কত জনের নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে ও পজিটিভ আসছে) মেনেই এই কাজ করতে হবে।' কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব প্রীতি সুদান রাজ্যগুলিকে এই মর্মে চিঠিও দিয়েছেন।
মে মাসের শেষ পর্যন্ত লকডাউন বৃদ্ধি করা হোক। বাংলা সহ একাধিক রাজ্যের তরফে কেন্দ্রের কাছে এই আর্জি জানানো হয়েছিল। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দার সিং দাবি করেন, সম্পূর্ণ জেলার বদলে এলাকা নির্দিষ্ট করে জোন ভাগ হোক। আর এই জোন ভাগের ক্ষমতা ছাড়া হোক রাজ্যগুলির উপরই। এতে আর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড এগিয়ে নিয়ে যেতে সুবিধা হবে। কর্নাটক, দিল্লি, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীরাও একই দাবি জানান। সেই মতো রবিবারই স্বারাষ্ট্রমন্ত্রক আরও দু'সপ্তাহ দেশেজুড়ে লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়েছে। পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট, দেশে করোনা সংক্রমের ৮০ ভাগেই ঘটেছে ৩০ পুরনিগম এলাকায়।
আরও পড়ুন- একনজরে মোদীর করোনা আর্থিক প্যাকেজের কোন পর্যায়ে কত বরাদ্দ
সংক্রমণ রোধে জোন চিহ্নিতকরণের পাশাপাশি কনটেনমেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গত দু'টি গাইডলাইনের উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব প্রীতি সুদান ক্লাসটার কনটেনমেন্টের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, কোনও কনটেনমেন্টে ২৮ দিন সংমক্রমণের নতুন রিপোর্ট না থাকলে তা সফল বলে বিবেচিত হবে। কনটেনমেন্টে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর করতে হবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে নজরদারি বহাল রাখতে হবে, স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে বলবৎ করতে হবে, প্রকাশ্যে যাতে কেই থুতু না ফেলে তা দেখতে হবে।
রাজ্যগুলিকে দেওয়া স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সচিবের চিঠিতে উল্লেখ, প্রত্যেক কনটেনমেন্টে এলাকার চারপাশে বাফার জোন চিহ্নিত করতেই হবে।
এদিকে, লকডাউনের মেয়াদ বাড়লেও সংক্রমণের প্রকোপ কমছে না। দেশে প্রায় ৯১ হাজার নমানুষ করোনা আক্রান্ত। শনিবার, একদিনে প্রায় ৫ হাজার মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন