পূর্ব ভারতে প্রথম হার্ট প্রতিস্থাপন কলকাতায়, গ্রিন করিডর বানিয়ে দিল পুলিশ
পূর্ব ভারতে এই প্রথম কোন রোগীর শরীরে হার্ট প্রতিস্থাপন করে চিকিৎসা বিজ্ঞানে নজির গড়ল কলকাতা। সোমবার ঝাড়খণ্ডের দিলচাঁদ সিং-এর শরীরে হার্ট প্রতিস্থাপন করা হল শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে।
পূর্ব ভারতে এই প্রথম কোন রোগীর শরীরে হার্ট প্রতিস্থাপন করে চিকিৎসা বিজ্ঞানে নজির গড়ল কলকাতা। সোমবার ঝাড়খণ্ডের দিলচাঁদ সিং-এর শরীরে হার্ট প্রতিস্থাপন করা হল শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে।
পূর্ব ভারতে এই প্রথম কোন রোগীর শরীরে হার্ট প্রতিস্থাপন করে চিকিৎসা বিজ্ঞানে নজির গড়ল কলকাতা। সোমবার ঝাড়খণ্ডের দিলচাঁদ সিং-এর শরীরে হার্ট প্রতিস্থাপন করা হল শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে। ডাঃ তাপস রায় চৌধুরী ও কে এম বন্দনার নেতৃত্বে ৩০ জনের টিমের তত্ত্বাবধানে তিন ঘণ্টা চলে অপারেশন।
Advertisment
এদিন সকাল সাতটা নাগাদ বেঙ্গালুরু থেকে চার্টার্ড বিমানে কলকাতায় আসে সংরক্ষিত হৃৎপিণ্ডটি। বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত স্বাস্থ্য সচিব। আন্তঃরাজ্য গ্রিন করিডর ধরে বিমানবন্দরে নামার সঙ্গে সঙ্গে মাত্র ২০ মিনিটে প্রায় ১৮ কিমি রাস্তা অতিক্রম করে জার-বন্দি হৃৎপিন্ড পৌঁছে যায় হাসপাতালে, সৌজন্যে কলকাতা পুলিশ এবং বিধাননগর পুলিশ, যাঁদের ধন্যবাদ জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
কার্ডিওলজিস্ট ডাঃ রবিন চক্রবর্তীর কথায়, "একজন কার্ডিওলজিস্ট হিসাবে খুব গর্ব হচ্ছে। বহু আগে থেকেই এই চিকিৎসা প্রক্রিয়া চালু হয়েছে, তবে পূর্ব ভারতে এমন নজির এই প্রথম। আমি খুব খুশি। আশা করছি আগামী দিনে চিকিৎসা বিজ্ঞানের এই উন্নতিতে মানুষ উপকৃত হবেন। মূলত যাঁদের হার্টের সমস্যার কোনও সমাধান থাকে না, তাঁদের ক্ষেত্রে সর্বশেষ উপায় হার্ট ট্রান্সপ্লান্ট। যত শীঘ্র সম্ভব এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা প্রয়োজন।"
Advertisment
অতিরিক্ত স্বাস্থ্য অধিকর্তা (প্রশাসন) অদিতি কিশোর সরকার বলেন, "এই ধরনের অঙ্গ প্রতিস্থাপন পূর্ব ভারতে এই প্রথম, কর্ণাটক থেকে এত দূরে এনে অঙ্গ প্রতিস্থাপন একেবারেই সহজ ছিল না, এ এক যুগান্তকারী ঘটনা। খুব তাড়াতাড়ি সরকারি হাসপাতালেও হার্ট প্রতিস্থাপনের কাজ শুরু হবে।"
প্রসঙ্গত, বেঙ্গালুরুতে পথ দুর্ঘটনায় আহত বরুণ ডি কে নামে এক ব্যক্তির ব্রেন ডেথ হয় গত ১৯ মে। এরপর বেঙ্গালুরু হাসপাতালের তরফে যোগাযোগ করা হয় চেন্নাইয়ের মালহার ফর্টিস হাসপাতালের সঙ্গে। সেখানে গ্রহিতা না থাকায় খবর যায় কলকাতা ফর্টিসে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আনন্দপুরের ফর্টিস হাসপাতালে ভর্তি দিলচাঁদের হার্ট প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন রয়েছে। সেই মতোই শুরু হয় হার্ট প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়া।
আমাদের নিউজলেটার সদস্যতা!
একচেটিয়া অফার এবং সর্বশেষ খবর পেতে প্রথম হন