ইন্টারগর্ভারমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (IPCC) এর সাম্প্রতিক রিপোর্টে ভারতের জন্য একগুচ্ছ সাবধানবাণী সামনে এসেছে। কী বলা হয়েছে এই রিপোর্টে? রিপোর্ট অনুসারে জানা গেছে মুম্বইয়ে বাড়ছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা সেই সঙ্গে বাড়ছে বন্যার ঝুঁকি। সেই সঙ্গে চেন্নাই, ভুবনেশ্বর, পাটনা এবং লখনউ-সহ বেশ কয়েকটি শহরে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে চলেছে তাপমাত্রা। আর্দ্রতার বিপজ্জনক স্তরের কাছে দাঁড়িয়ে শহরগুলি। তাপমাত্রা বৃদ্ধির হাত থেকে রেহাই নেই আহমেদাবাদেরও।
আইপিসিসি সোমবার তাদের ষষ্ঠ মূল্যায়ণ প্রতিবেদনের দ্বিতীয় অংশ প্রকাশ করেছে। যাতে দেখানো হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কীভাবে একের পর এক শহর বিপজ্জনক পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। আইপিসিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জনসংখ্যার দিক থেকে ভারত বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলির মধ্যে একটি যা সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির দ্বারা ব্যাপক ভাবে প্রভাবিত হবে। সেই সঙ্গে বায়ুদূষণের ওপরেও ফোকাস করা হয়েছে এই রিপোর্টে।
বায়ুদূষণের ফলে কীভাবে একের পর এক শহরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং জলবায়ু পরিবর্তিত হচ্ছে তার বিস্তৃত বিবরণ রিপোর্টে তুলে ধরা হয়েছে। রিপোর্টে দেখানো হয়েছে, মুম্বই শহরে বাড়ছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে বন্যার ঝুঁকি। “বিশ্বব্যাপী, তাপ এবং আর্দ্রতা বৃদ্ধি এমন এক পরিস্থিতিতে পৌঁছাতে চলেছে যা ক্রমশ সহনশীলতার বাইরে চলে যাবে। সেই সঙ্গে রিপোর্টে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও বলা হয়েছে। তা হলে জলবায়ু পরিবর্তন মানুষের সামাজিক, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে।
প্রফেসর অঞ্জল প্রকাশ অন্যতম গবেষক জানিয়েছেন, শহুরে এলাকার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। তিনি বলেন, ২০৫০ সালের মধ্যে জনসংখ্যা বর্তমানের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হবে। যা জলবায়ু সংক্রান্ত ঝুঁকিকে আরও চওড়া করবে।
সেই সঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে নগরায়ণের হার ৩৫ শতাংশ, যা আগামী ১৫ বছরে ৪০ শতাংশে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শহরগুলিতে জনসংখ্যার ঘনত্ব জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে।" সেই সঙ্গে রিপোর্টে দেখান হয়েছে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতে তাপমাত্রা কীভাবে বেড়ে চলেছে। উত্তর এবং উপকূলীয় ভারতের অনেক অংশ শতাব্দীর শেষের দিকে তাপমাত্রা আরও কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে যা জনজাতির পক্ষে বিপজ্জনক।