বিহারের মুজফ্ফরপুরে এনসেফালাইটিসে মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা এর পেছনে দায়ী করছেন তাপপ্রবাহ এবং অপুষ্টিকে। সরকারি হিসেব বলছে এনসেফালাইটিসে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা ২০১৮ তে ছিল ৭। একবছরের মধ্যে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৩। মৃতদের মধ্যে অধিকাংশ শিশুর বয়স দশের কম। সোমবার সেই প্রসঙ্গেই রাজ্য সরকারকে নোটিস পাঠিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (এনএইচআরসি)। রাজ্যে ক্রমশ বাড়তে থাকা এনসেফেলাইটিস নিয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে বিহার সরকারকে।
রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন মুজফ্ফরপুরের শ্রীকৃষ্ণ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে যান। ওই হাসপাতালে ৮৫টি শিশু মৃত্যুর ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। ১৮টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে কেজরিওয়াল হাসপাতালে।
আরও পড়ুন, শপথ নিতে গিয়ে নিজের নামের সঙ্গে গুরু নাম যোগ করলেন প্রজ্ঞা ঠাকুর
অ্যাকিউট এনসেফালাইটিস সিনড্রোম নিয়ে ৪৪০ টি শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। এদের মধ্যে এখনও ১৫৪ জনের চিকিৎসা চলছে। মৃত শিশুদের মধ্যে অধিকাংশই মুজফ্ফরপুর, বৈশালী, সীতামারহি, সমস্তিপুর এলাকার নিম্নবিত্ত পরিবারের। ২০১৪ সালে রেকর্ড সংখ্যক (৩৫৫) শিশুম্ত্যু হয়েছিল বিহারে। ২০১৫, ২০১৬ এবং ২০১৭ তে সংখ্যাটা ছিল যথাক্রমে ১১, ৪ এবং ১১।
জুন মাসের প্রথম থেকেই বিহারের মুজফ্ফরপুরের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি অতিরিক্ত তাপমাত্রা থাকায় এবং মাঝে একটুও বৃষ্টিপাত না হওয়াই এনসেফালাইটিস মহামারীর আকার ধারণ করার পেছনে দায়ী। এছাড়া শিশুদের যথাযথ পুষ্টির জন্য কর্মসূচী গ্রহণ করার ক্ষেত্রে বিহার সরকারের তরফে গাফিলতি ছিল বলেও অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন, নিহত পুলিশের পুত্রসন্তান কোলেই শেষ শ্রদ্ধা সহকর্মীকে
বিহারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী পাণ্ডে দাবি করেছেন, রাজ্যবাসীর মধ্যে এনসেফালাইটিস সচেতনতা ছড়াতে মার্চ-এপ্রিল মাসে সরকারি কর্মসূচী নেওয়া হয়েছিল। যদিও রাজ্যবাসীর একাংশের দাবি, লোকসভা নির্বাচনের আগে সেরকম কিছুই হয়নি। সাধারণত এই ধরণের কর্মসূচীতে অভিভাবকদের পরামর্শ দেওয়া হয় শিশুদের গরমে ফুলহাতা সুতির পোশাক পরিয়ে বাইরে পাঠাতে, চড়া রোদে না বেরোতে এবং রাতের খাবার খেয়ে ঘুমোতে। সরকারের তরফে ওআরএস প্যাকেটও সাধারণত বিলি করা হয়।
Read the full story in English