আজও ভারী বৃষ্টিপাতের পুর্বাভাস জারি করা হয়েছে কেরলে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে কেরলের একাধিক জেলায় জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। আবহাওয়া দফতর এক বুলেটিনে রবিবার এবং সোমবার কেরলের একাধিক জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করেছে। এর মধ্যে রয়েছে আলাপুঝা, কোট্টায়াম, এরনাকুলাম, ইদুক্কি, ত্রিশুর, মালাপ্পুরম, কোঝিকোড়, ওয়ানাদ, আলাপুঝা, কোট্টায়াম, এরনাকুলাম, ইদুক্কি, ত্রিশুর, মালাপ্পুরম, কোঝিকোড়, কান্নুর জেলা।
এর মধ্যেই ইদুক্কি জেলা প্রশাসন বর্ষার অতিরিক্ত জল ছাড়ার জন্য কাল্লারকুট্টি এবং পাম্বলা বাঁধ খুলে দেওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে পাওয়া খবর অনুসারে জানা গিয়েছে ১২ থেকে ১৮ মে রাজ্যে প্রায় ২৩৭ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। কেরলে গত কয়েকদিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। যে কারণে রাজ্যে নির্দিষ্ট কিছু অংশের জীবনযাত্রার ওপরে প্রভাব ফেলেছে।
আরও পড়ুন: ইতিহাসে প্ৰথম বাঙালি কন্যা পিয়ালী! এভারেস্ট চূড়ায় পা পড়ল চন্দননগরের গর্বিত তনয়ার
পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে কেরলে ইতিমধ্যেই ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের পাঁচটি দল মোতায়েন করা হয়েছে কেরলে। সাধারণত এই সময়ের মধ্যে রাজ্যে ৪৭.৩ মিমি বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে। চলতি বছরে এই সময়ে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৫৯.৩ শতাংশ। সেই সঙ্গে এক সতর্কবার্তায় আবহাওয়া দফতর জনিয়েছে উত্তর কেরালা উপকূলবর্তী অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টিপাতের সঙ্গে ঘন্টায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
তিরুবনন্তপুরম, কান্নুর, এরনাকুলামে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই বেশি। ২৭ মে কিংবা তার আশপাশের সময়ে কেরলে বর্ষা প্রবেশ করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তরফে বৃষ্টি না কমা পর্যন্ত সাধারণ মানুষকে নদী ও অন্য জলাশয় থেকে দূরে থাকতে বলেছে। পাশাপাশি জরুরি কোনও কাজ ছাড়া পাহাড়ি কোনও এলাকায় ভ্রমণ না করতেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও রাতের ভ্রমণ এড়াতেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
Read story in English