রবিবার হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে ভারী বৃষ্টিপাত ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। যার ফলে ভূমিতে ধস নেমেছে। ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং কমপক্ষে ৯ জন মারা গেছেন। সিমলা জেলার কোটগড় এলাকায় ভূমিধসের পর একটি বাড়ি ধসে একই পরিবারের তিন সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। কুল্লু শহরে, একটি ভূমিধসে একটি অস্থায়ী বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার ফলে একজন মহিলার মৃত্যু হয়েছে। অন্য একটি ঘটনায়, শনিবার রাতে চাম্বার কাতিয়ান তহসিলে ভূমিধসের জেরে একজন জীবন্ত কবরে চলে গিয়েছেন।
নদী ফুলে ওঠা এবং পাথর পড়ার জেরে কুল্লু-মানালি সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যার জেরে কুল্লু এবং মানালি থেকে অটল টানেল এবং রোটাংয়ের দিকে যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। তারমধ্যেই গত ৩৬ ঘণ্টায় উত্তরাখণ্ড থেকে ১৩টি ভূমিধস এবং ৯টি আকস্মিক বন্যার খবর পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে মোট ৭৩৬টি রাস্তায় যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
রবিবার তেহরি গারোয়াল জেলায় গঙ্গা নদীতে ভূমিধসের কারণে একটি গাড়ি পড়ে যাওয়ায় তিন জন প্রাণ হারিয়েছেন। আর, তিন জন নিখোঁজ। গাড়িটিতে চালক-সহ ১১ জন ছিলেন। পুলিশ পাঁচ জনকে উদ্ধার করে ঋষিকেশের একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেছে। ঘটনার সময় ওই সব লোকজন কেদারনাথ থেকে ঋষিকেশে যাচ্ছিলেন।
এই পরিস্থিতিতে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী জনগণকে অপ্রয়োজনীয় চলাচল এড়াতে অনুরোধ করেছেন। পাশাপাশি, উত্তরাখণ্ডে আসা তীর্থযাত্রীদের অসুবিধা এড়াতে সর্বশেষ আবহাওয়ার তথ্য পাওয়ার পরেই যাত্রার পরিকল্পনা করার জন্য অনুরোধ করেছেন। একটি টুইট বার্তায় তিনি বলেছেন, যে কোনও ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় তিনি প্রশাসনকে ‘রেড অ্যালার্ট’ মোডে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন- লোকসভা নির্বাচনে হেরে গেলেও প্রফুল্ল প্যাটেলকে মন্ত্রী করা হয়েছে: শরদ পাওয়ার
এর মধ্যেই লেহ-মানালি জাতীয় মহাসড়কের (NH3) একটি অংশ উপচে পড়া বিয়াস নদীর কারণে ভেসে গেছে বলে এএনআই জানিয়েছে। তার মধ্যেই রবিবার রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এসডিআরএফ) একটি দল কুল্লুর কাছে বিয়াস নদীর জলস্তর বৃদ্ধির কারণে একটি বাড়িতে আটকে পড়া পাঁচ জনকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়েছে।