২৬/১১-র হামলায় নিহত আইপিএস আধিকারিক হেমন্ত কারকারের মেয়ে জুঁই নাভারে মুখ খুললেন ১১ বছর পর। "নিজের জীবন এবং পরিবারের আগে তিনি কর্তব্যকে রেখেছিলেন। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত তিনি নিজের শহর, নিজের দেশকে রক্ষা করতে চেয়েছিলেন", বললেন জুঁই।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিজের বাড়ি থেকে সানডে এক্সপ্রেসকে জানালেন , সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া মালেগাঁও বিস্ফোরণে অভিযুক্ত সাধ্বী প্রজ্ঞার মন্তব্য তিনি শুনেছেন। বললেন, "আমি ওনাকে নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। শুধু বলব আমার বাবা একজন আদর্শ মানুষ ছিলেন, ওনার নামটা উচ্চারণের সময় যেন সম্মানটুকু দেখানো হয়"।
সাধ্বী প্রজ্ঞার অভিশাপে মারা গিয়েছিলেন মুম্বই সন্ত্রাস দমন শাখার প্রধান হেমন্ত কারকারে। মালেগাঁও জঙ্গি হামলায়য় অভিযুক্ত তথা ভোপাল লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী প্রজ্ঞা ঠাকুর দিন কয়েক আগে নিজেই এই দাবি করেছেন। ২৬-১১ মুম্বই হামলার দিন জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াইয়ে নিহত হন হেমন্ত কারকারে। মালেগাঁও বিস্ফোরণের তদন্তের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন, বাড়ির ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা অবসাদগ্রস্ত জেট কর্মীর
সংবাদসংস্থা এএনআই প্রকাশিত একটি ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, প্রজ্ঞা ঠাকুর বলছেন, ”আমি হেমন্ত কারকারেকে বলেছিলাম, আমার বিরুদ্ধে যখন কোনও প্রমাণ নেই, আমায় ছেড়ে দিন। উনি বলেছিলেন, উনি প্রমাণ জোগাড় করে আনবেন কিন্তু আমায় ছাড়বেন না। আমি ওঁকে বলেছিলাম- আপনি শেষ হয়ে যাবেন।”
"বাবা আমাদের বুঝিয়ে দিয়ে গিয়েছেন সন্ত্রাসবাদের কোনও ধর্ম হয় না। কোনও ধর্মই কাউকে হত্যা করতে শেখায় না। তাঁর কর্মজীবনের ২৪ টা বছর জুড়ে তিনি সবাইকে সাহায্য করে এসেছেন। মৃত্যুর সময়েও নিজের জীবনের চেয়ে সারা শহরকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন তিনি। আমি চাই সেটাই সবাই মনে রাখুক", বললেন কারকারে কম্যা জুঁই।
বাবা মালেগাঁও বিস্ফোরণের তদন্ত নিয়ে বুঁদ হয়ে থাকতেন, আর তাঁর মা বাবাকে নিয়ে আশঙ্কায় থাকতেন খুব, জানালেন জুঁই। ২০১৪ সালে মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণের ফলে মৃত্যু হয় হেমন্ত কারকারের স্ত্রী-র।
"তদন্ত করে বাবা যা যা পেয়েছিলেন, আমি জানি সেগুলো নির্ভুল। প্রথম থেকেই সেটা জানতাম। কোনোদিন মুখ খুলিনি আগে। মেয়ে হিসেবে বাবাকে যতটুকু জেনেছি, উনি সবসময় চাইতেন প্রত্যেকে যেন ন্যায় বিচার পায়।"।
Read the full story in English