মঙ্গলবার পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা উচ্চ আদালত এয়ার ইন্ডিয়াকে সমালোচনা করে বলে, সারা দেশে এই সংস্থার পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া দরকার। শুনানির পরবর্তী দিনে সংস্থার কার্যনির্বাহী পরিচালককে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মোহালি ইন্ডাসট্রিজ-এর পক্ষ থেকে জনস্বার্থে করা মামলার শুনানির সময় এই নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি কৃষ্ণ মুরারির নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চ।
সর্বশেষ শুনানিতে আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ এয়ার ইন্ডিয়ার কাছে চণ্ডীগড় থেকে ব্যাংককের উড়ান বন্ধ করে দেওয়ার কারণ জানতে চেয়েছে। গত জুলাই মাস থেকে হজে তীর্থযাত্রায় বিমান ব্যবহারের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল এই পরিষেবা।
এর আগে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা আদালতের পক্ষ থেকে এয়ার ইন্ডিয়াকে এই সংক্রান্ত প্রমাণ দেখিয়ে হলফনামা জমা দিতে বলা হয়েছিল।
মঙ্গলবারের শুনানিতে এয়ার ইন্ডিয়ার প্রতিনিধি সদস্য জানান, ওই পরিষেবা দিতে গিয়ে ৮ কোটি টাকার ক্ষতি হয় সংস্থার। হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে, বিমানের আসনের ৬৫ শতাংশই ভর্তি হত। শুনানি চলাকালীন ডিভিশন বেঞ্চ এয়ার ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিকে লক্ষ্য করে বলে, "সারা দেশে পরিষেবা বন্ধ করে দিচ্ছেন না কেন? একটিও বিমান চালানোর দরকার নেই।"
হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে চণ্ডীগড়-ব্যাংকক ছাড়াও বাণিজ্যিক ভাবে লাভজনক না হওয়ার কারণে ভুবনেশ্বর-ব্যাংককের উড়ান পরিষেবাও বন্ধ করেছে সংস্থা। সংস্থার পক্ষ থেকে অবশ্য বিমান বন্দরের অব্যবস্থাকেও (ক্যাটারিং পরিষেবার অভাব) দায়ী করা হয়েছে এই কারণে।
ব্যবসা লাভজনক হওয়ায় দিল্লি এবং মুম্বই থেকে ব্যাংককের বিমান পরিষেবা চালু রেখেছে এয়ার ইন্ডিয়া। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুলাই মাসের হিসেব অনুযায়ী মুম্বই-ব্যাংকক এবং দিল্লি-ব্যাংকক বিমান পরিষেবায় সংস্থার লাভ হয়েছে যথাক্রমে ১,১৫৪ লক্ষ এবং ১,৩২০ লক্ষ টাকা।