মাঝেরহাট সেতু ভাঙার দায় কার? এই নিয়ে রাজ্য সরকারের তদন্ত কমিটি প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেবে আজ। তবে বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি হতে সময় লাগবে। সেতু বিপর্যয়ের দায় কার তা নিয়ে রাজ্য সরকার ও মেট্রো কর্তৃপক্ষের মধ্যে বেশ কয়েক প্রস্থ চাপান-উতোর চলেছে। জোকা-ধর্মতলা মেট্রো রেলের কাজ চলার দরুণ কম্পনের ফলে মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পড়েছে বলে দাবি করেছে রাজ্য সরকার। তবে রাইটসকে দিয়ে পর্যবেক্ষণ করিয়ে সেই দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছে মেট্রো।
অবশ্য নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম মেট্রোর কাজকে দায়ী করলেও পাশাপাশি বলেছেন সেতুটির বয়সও হয়েছিল। ঠিক কী কারণে এই দুর্ঘটনা, তা জানতে উদগ্রীব সাধারন মানুষ। তবে আগেভাগে দুর্ঘটনার কারণ ঘোষণা করার পর তদন্ত কমিটি গড়লে তাতে প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছে রাজ্যের বিরোধী মহল।
আরও পড়ুন: কেন গ্যারেজে পড়ে আছে চার কোটি টাকার সেতু স্বাস্থ্য পরীক্ষা যন্ত্র?
মাঝেরহাট সেতু দুর্ঘটনা নিয়ে তড়িঘড়ি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটির কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেসময় তিনি উত্তরবঙ্গ সফরে ছিলেন। আজ ওই কমিটি সেতু দুর্ঘটনা সংক্রান্ত প্রাথমিক রিপোর্ট জমা করবে। সেতু বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধানের জন্য মুখ্যমন্ত্রী গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজ্যের মুখ্যসচিব মলয় দের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করে দেন। রাজ্যের বিভিন্ন দপ্তরের সচিব, রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক ও কলকাতা পুলিশের কমিশনার-সহ প্রশাসনের কর্তাদের নিয়ে গঠিত কমিটি এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবে বলে জানিয়েছিলেন মমতা। সেই ঘোষণার সূত্র ধরেই তদন্ত কমিটির প্রাথমিক রিপোর্ট তাঁর কাছে জমা পড়বে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন।
গতকাল নবান্ন ছাড়ার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, "আগামিকাল প্রাথমিক রিপোর্ট জমা পড়বে। বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করতে তো সময় লাগবে।" কমিটির তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে কাউকে যে ছেড়ে কথা বলা হবে না, মুখ্যমন্ত্রী তা আগেই জোরগলায় ঘোষণা করেছিলেন। এখন অপেক্ষা, এই প্রাথমিক রিপোর্টে সেতু দুর্ঘটনার দায় কাদের ওপর বর্তায় সেটা দেখার।