এই বছরের এপ্রিল মাসে উত্তর-পশ্চিম এবং মধ্য ভারতের গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গত ১২২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ স্থানে পৌঁছছে। গত ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, নথি মিলিয়ে এমনটাই দাবি করল ভারতীয় আবহাওয়া দফতর। ১৯০১ সাল থেকে পাওয়া তথ্য মিলিয়ে আবহাওয়াবিদরা একথা জানতে পেরেছেন।
চলতি এপ্রিলে উত্তর-পশ্চিম ভারতে গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা, দীর্ঘ সময়ের গড় থেকে ৩.৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। ২০১০ সালের এপ্রিলে গড় তাপমাত্রার রেকর্ড বৃদ্ধি ঘটেছিল। ওই বছর তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ৩৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সেই রেকর্ডকেও ছাপিয়ে গিয়েছে এবারের তাপমাত্রার বৃদ্ধি। মধ্য ভারতে এপ্রিলে গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭.৭৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৯৭৩ সালে সেই তাপমাত্রা পৌঁছেছিল রেকর্ড উচ্চতায়, ৩৭.৭৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এবারের গড় তাপমাত্রা তাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন- হাঁসফাঁস গরমে নাজেহাল সাধারণ মানুষ, দেশের একাধিক রাজ্যে জারি তাপপ্রবাহের সতর্কতা
শুধু সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রাই না। সর্বনিম্ন গড় তাপমাত্রাও এবার ছিল অন্যবারের চেয়ে বেশি। এই এপ্রিলে উত্তর-পশ্চিম ভারতে গড় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯.৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা, দীর্ঘ সময়ের গড় থেকে ১.৭৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। তাপমাত্রার এতটা বৃদ্ধি আচমকা দূর হবে না। কারণ, আবহাওয়ার পরিবর্তন অত্যন্ত ধীর গতিতে হয়। তাই এপ্রিলের পরিস্থিতি দেখে আবহাওয়াবিদরা উত্তর-পশ্চিম ভারতের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা মে মাসেও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে বলে মনে করছেন। শনিবার পূর্বাভাসে সেকথাই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন, উত্তর-পশ্চিম এবং মধ্যভারতে বৃষ্টির ঘাটতি দেখা দিয়েছে। মার্চ মাসে, উত্তর-পশ্চিম ভারতে প্রায় ৮৯% বৃষ্টিপাতের ঘাটতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। আর, এপ্রিলে ঘাটতি হয়েছে প্রায় ৮৩%। উত্তর-পশ্চিম এবং মধ্য ভারতে প্রাক-মৌসুমি বৃষ্টিপাতের ঘাটতির কারণ হল, পশ্চিমী ঝঞ্ঝাগুলো দুর্বল এবং শুষ্ক ছিল। এমনটাই জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। আবহাওয়া দফতরের হিসেব অনুযায়ী, ছ'টি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা উত্তর ভারতকে প্রভাবিত করলেও, তারা বেশিরভাগই দুর্বল ছিল। কারণ, তারা হিমালয়ের উচ্চতর অংশ থেকে এসেছে। এর মধ্যে, শেষ তিনটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা দিল্লির কিছুটা অংশে প্রবল বাতাস বইয়ে দিয়েছে। এপ্রিলে রাজস্থানেও তৈরি করেছিল ধুলো ঝড়। কিন্তু, ওই পর্যন্তই। কোনও বৃষ্টিপাত হয়নি।
Read story in English