লকডাউনে আগামী ২০ তারিখ থেকে কিছুটা ছাড় মিলবে। বিশেষ করে হটস্পট বা হটস্পট হতে পারে এমন এলাকা ছাড়া পণ্য পরিবহণে ছাড় দেওয়া হয়েছে। যোগান নিশ্চিত করতেই কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ বলে জানা গিয়েছে। নির্দেশিকায় উল্লেখ, পণ্য পরিষেবায় ব্যবহার করা ট্রেন, লরি ও অন্যান্য মাধ্যমকে আটকানো হবে না। এই পরিষেবায় নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে পাঠানো যেতে পারে। ফলে হাইওয়েতে ধাবা, ট্রাক-লরি মেরামতির দোকানও খোলা থাকবে।
Advertisment
এদিন প্রকাশিত নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যে, রাজ্যগুলিকে কেন্দ্রীয় গাইডলাইন মেনে চলতে হবে। তবে, প্রয়োজনে রাজ্যগুলো নির্দেশিকা কঠোর করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবারই জানিয়েছিলেন বুধবার লকডাউনের গাইডলাইন প্রকাশিত হবে। মূলত কৃষি ও বেশকিছু শিল্পকার্যকলাপের উপর ছাড় ঘোষণা হতে পারে। এদিন নির্দেশিকায় তারই প্রতিফলন লক্ষ্য করা গেল।
এবার থেকে জাহাজে ত্রাণ আনানেওয়া করা যাবে। পণ্য চলাচলে মাল লোডিং-আনলোডিং ক্ষেত্রে বন্দরের কর্মী ও ঠিকা শ্রমিকরা কাজ করবেন। তাদের কাজের অনুমতি অবশ্য নির্ভর করবে স্থানীয় প্রশাসন বা কর্তৃপক্ষের উপর। খুলছে স্থলবন্দরও। আন্তঃরাজ্য স্থলবন্দর দিয়ে পেট্রোলিয়ামজাত পন্য, এলপিজি, মেডিক্যাল দ্রব্য সহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী দেশের বিভিন্নপ্রান্তে পৌঁছাবে।
মাল খালি করার পর ফাঁকা ট্রাক বা লরি বিনা বাধায় ফেরৎ যেতে পারবে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যে, প্রতি ট্রাক পিছু, দু'জন করে চালক ও একজন করে সহযোগী থাকবে। মঙ্গলবারইজানানো হয়েছিল যে, যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল ৩ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তবে মালবাহী ট্রেন চলবে। এই পরিষেবা বজায় রাখতে ন্যূনতম যে কর্মীর প্রয়োজন তাদের কাজ করার সুযোগ করে দিতে হবে। একই নীতি লাগু হবে দেশের অভ্যন্তরীণ সমুদ্রবন্দরগুলিতেও।