scorecardresearch

হিজাব মামলার শুনানিতে উঠল দক্ষিণ আফ্রিকা এবং তুরস্কের নাম

পরবর্তী শুনানি বুধবার।

KARNATAKA_HIGH_COURT
কর্নাটক হাইকোর্ট। (ফাইল চিত্র)

দিনকে দিন আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে কর্নাটক আদালতের হিজাব মামলা। সোমবারই এই মামলার শুনানিতে শোনা গিয়েছিল কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের নাম। মঙ্গলবার শোনা গেল, দক্ষিণ আফ্রিকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং তুরস্কের নামও। শুনানিতে মুসলিম ছাত্রীদের আইনজীবী দেবদত্ত কামাথ সোমবারের মতোই দাবি করেন, তাঁর মক্কেলদের হিজাব পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসতে দেওয়া উচিত।

সোমবার তিনি আদালতে জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে হিজাব নিষিদ্ধ না। সেই যুক্তিতে প্রশ্ন তুলেছিলেন, তাহলে কর্নাটকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেন হিজাব নিষিদ্ধ হবে? মঙ্গলবার শুনানিতে কামাথ উল্লেখ করেন, দক্ষিণ আফ্রিকার এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কথা। সেখানে দক্ষিণ ভারতের এক ছাত্রীকে স্কুলে নাকছাবি পরতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। যার মাধ্যমে কামাথ বোঝাতে চান, নির্দিষ্ট কিছু রীতি- রেওয়াজ থাকে। পড়ুয়াদের যে অধিকার কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই খর্ব করতে পারে না।

আর, এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই মঙ্গলবার কামাথ তুলে ধরেন সংবিধানের কথা। সোমবারের শুনানিতেও তিনি সংবিধানের ধারা উল্লেখ করে দাবি করেছিলেন, সেখানে মুসলিম কন্যাদের হিজাব পরার স্বীকৃতি দেওয়া আছে। যেমন, দেওয়া আছে শিখ সম্প্রদায়ের যুবকদের পাগড়ি পরার অধিকার।

মঙ্গলবারও তাঁর শুনানিতে উঠে এল সংবিধানের প্রসঙ্গ। সেই প্রসঙ্গ টেনে কামাথ বলেন, ভারতীয় সংবিধান ইতিবাচক ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে। এটা তুরস্কের মতো নেতিবাচক ধর্মনিরপেক্ষতার মত নয়। ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতা সব সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষার কথা বলে। এমনটাই দাবি করেন এই দুঁদে আইনজীবী।

আরও পড়ুন- তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর মুখে রাশিয়া পিছু হঠায় জাগল আশার আলো

হিজাব নিয়ে গন্ডগোলের জেরে পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর সোমবার থেকেই কর্নাটকের হাইস্কুলগুলোয় ক্লাস শুরু হয়েছে। উচ্চ আদালত নির্দেশ দেওয়ার পর পড়ুয়া থেকে শিক্ষক, সকলকেই হিজাব খুলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করতে হয়েছে। এমনকী, অভিভাবকরাও হিজাব খোলার পরই শিক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন।

Read story in English

Stay updated with the latest news headlines and all the latest General news download Indian Express Bengali App.

Web Title: Hijab ban udipi protests court hearing