হিমাচল প্রদেশের উনায় বেআইনি আতসবাজি তৈরির কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণের জেরে ৬ মহিলা নিহত হয়েছেন। গুরুতর জখম হয়েছেন কমপক্ষে ১৪ জন। প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আহতদের। শারীরিক পরিস্থিতির অবনতিতেত পরে চণ্ডীগড়ের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে জখম ১১ জনকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহতদের মধ্যে উত্তরপ্রদেশ ও পাঞ্জাবের একজন করে মা-মেয়ে রয়েছেন। বিস্ফোরণে আহত সবাই উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। উনার পুলিশ সুপার অরিজিৎ সেন জানান, আহতদের মধ্যে ১১ জনকে সংকটজনক অবস্থায় চণ্ডীগড়ের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। প্রশাসনের নজর এড়িয়ে কীভাবে দিনের পর দিন ধরে এই কারখানা চলছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয় রাম ঠাকুর এই ঘটনার তদন্ত করে এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বিভাগীয় কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে বেআইনি ওই আতসবাজি কারখানার মালিকের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করেছে পুলিশ। তবে ঘটনার পর থেকেই ওই ব্যক্তির কোনও হদিশ নেই। জেলা প্রশাসক (ডিসি) রাঘব শর্মা জানিয়েছেন, এদিন ঘটনাটি ঘটেছে হারলি মহকুমার বাথু শিল্প এলাকায়। তিনি জানিয়েছেন, যাদের মদতে এই বেআইনি কারখানা চলছিল তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন- বিয়েবাড়ি থেকে ফেরার পথে গভীর খাদে পড়ল গাড়ি, নিহত ১১
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল ১১টার দিকে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের জেরে মুহূর্তে গোটা কারখানায় আগুন ধরে যায়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতই বেশি ছিল যে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে তার শব্দ শোনা গিয়েছে।
তেহলিওয়াল ফায়ার পোস্টের ইনচার্জ সুনীল দত্ত জানান, তাঁরা সকাল ১১.১৬ মিনিটে একটি ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে একটি ফায়ার টেন্ডার নিয়ে যান। উনা থেকে আরও কটি ফায়ার টেন্ডার চাওয়া হয়। সাইনবোর্ড না থাকা কারখানার দুটি শেডের একটিতে আগুন নেভাতে আধা ঘণ্টা লেগেছে।
দমকলকর্মীরাই কারখানা থেকে ছ'টি পুড়ে যাওয়া দেহ উদ্ধার করেছেন। বিস্ফোরণে আহতদের স্থানীয় বাথরির সিয়ান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁদের উনার আঞ্চলিক হাসপাতালে রেফার করা হয়। তবে সন্ধে নাগাদ তাঁদের মধ্যে ১১ জনকে পিজিআই চণ্ডীগড়ে রেফার করা হয়।
Read story in English