নাগরিকপঞ্জি নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসেছিল আসাম। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়েও সেই উত্তাল পরিস্থিতিই বজায় ছিল। সেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এবার আসামে পথে নামল বিজেপি। কয়েক হাজার বিজেপি কর্মীদের নিয়ে গুয়াহাটিতে একটি জনসভায় অংশ নেন পদ্মশিবিরের শীর্ষস্থানীয় নেতারা। নতুন নাগরিকত্ব আইন, কেন্দ্রের উন্নয়নমূলক কাজ নিয়ে নিজেদের বক্তব্যও রাখেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: নয়া নাগরিকত্ব আইন: ভবঘুরে রাস্তাবাসীদের কী হবে?
সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা তিন বছর আগে লোকসভার সাংসদ এবং এআইইউডিএফ প্রধান বদরুদ্দিন আজমলের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, তখন কেবল “একজনই আজমল” ছিলেন, কিন্তু আজ এখানে “লক্ষ লক্ষ আজমল” রয়েছেন। হেমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, মিঞা কবিতা লেখা আজমল তথা এই অতি সাম্প্রদায়িক শক্তির থেকে আসামকে রক্ষা করাই বিজেপির কাছে একটা বড় কাজ। 'মিঞা কবিতা' নামে পরিচিত এই কাব্যরীতি বছরকয়েক হল চালু করেছেন ওই রাজ্যের বাংলাভাষী মুসলিমরা। কবিতাগুলোতে তাঁরা আসামে তাদের সামাজিক বঞ্চনা ও নির্যাতনের ছবিই তুলে ধরছেন। মিঞা কবিতার প্রতিবাদের জায়গাটা এখান থেকেই। যে শব্দতে অপমান তাকেই ধারণ করেছেন ওঁরা। সাথে আছে খেটে খাওয়া জীবনের, শ্রমের, উদযাপন।
আরও পড়ুন: বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে পানশালায় মারধরের অভিযোগ
আসামে বিজেপি সরকারের কাজের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, “আমরা জনগণের পক্ষে কাজ করেছি। আমরা আমাদের মাতৃভূমির পক্ষে কাজ করেছি। আসামকে আজমলদের থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য কাজ করেছি। জীবনের শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে আমরা বদুরুদ্দিন আজমলদের বিরুদ্ধে কাজ করে যাব।"
আরও পড়ুন: জামিয়ার প্রতিবাদে গুলি চালিয়েছে পুলিশই, তদন্তে উঠে এল নয়া তথ্য
আসামের এই পদ্ম মঞ্চে থেকেই ভারতের নাগরিকদের নাগরিকত্ব দেওয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর যে চিন্তাভাবনা সে প্রসঙ্গে বিজেপির কার্যকরী সভাপতি জে পি নাড্ডা বলেন, "নিজেদের জমি ছেড়ে, সম্মান রক্ষা করতে, পরিবার নিয়ে সকলে ভারতবর্ষে এসেছিলেন। যারা এসেছিলেন তাঁরা এখন কোথায় যাবেন? ভারতবর্ষই তাঁদের আশ্রয়স্থল। সম্মানের সঙ্গে তাঁদের বাঁচতে দেব আমরা। আমরাই তাঁদের নাগরিকত্ব দেব। এটাই নাগরিক সংশোধনী আইন।"
Read the full story in English