Advertisment

আদানি-হিন্ডেনবার্গ ইস্যুতে মিডিয়া রিপোর্টিং বন্ধ নয়, সাফ জানিয়ে দিল শীর্ষ আদালত

প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এই বিষয়ে শুনানি হয়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
adani row,sc on adani row,আদানি বিতর্কে মামলা সুপ্রিম কোর্টে,আদানি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট কী জানাল"

আদানি-হিন্ডেনবার্গ মামলায় শুক্রবার বড় মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট। আদালত এই মামলায় ‘মিডিয়া রিপোর্টিং’ নিষিদ্ধ করতে অস্বীকার করে। আদালতের চূড়ান্ত আদেশ না হওয়া পর্যন্ত আদানি-হিন্ডেনবার্গ মামলার রিপোর্টিং থেকে মিডিয়াকে নিষেধ করার জন্য একটি আবেদনও খারিজ করে দিয়েছে আদালত।

Advertisment

‘মিডিয়ার কাছে হস্তক্ষেপ নয়’ আদানি-হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের প্রতিবেদনে নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। আদানি হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট সামনে আসার পর থেকেই তুঙ্গে রাজনৈতিক বিতর্ক। এই বিষয়ে রিপোর্ট না করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশনও দায়ের করা হয়েছিল। শীর্ষ আদালত সেই আবেসন খারিজ করে দিয়েছে।

আদানি হিন্ডেনবার্গ ইস্যু নিয়ে ‘মিডিয়া কভারেজ’ বন্ধের দাবি জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল। শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) আদালত এই আবেদন খারিজ করে দেয়। ভারতের প্রধান বিচারপতি (সিজেআই) ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছেন যে মিডিয়ার কাজে কোন ভাবে হস্তক্ষেপ করবে না শীর্ষ আদালত। আইনজীবী এলএল শর্মার পক্ষে এই আবেদন করা হয়েছিল।

আদানি বিতর্ক নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা থেকে মিডিয়ার বিরত থাকা উচিত। এমন আর্জি নিয়েই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আইনজীবী এম এল শর্মা। তার দায়ের করা সেই পিটিশন খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত।

এর আগে, ১৭ ফেব্রুয়ারি, সুপ্রিম কোর্ট হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের প্রকাশিত প্রতিবেদন সম্পর্কিত চারটি পিটিশনের ওপর সিদ্ধান্ত সংরক্ষণ করেছিল। রিপোর্টে এতে আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ ওঠে। এই প্রতিবেদনটি সামনে আসার পর আদানি গ্রুপের ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি ক্ষতি হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টের পরে আদানি গ্রুপের শেয়ারের পতন সংক্রান্ত পিআইএলের উপর সুপ্রিম কোর্ট তার আদেশ সংরক্ষণ করেছে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এই বিষয়ে শুনানি হয়।

আইনজীবী এলএল শর্মা, যিনি পিটিশনটি দাখিল করেছিলেন, সেবি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিষ্ঠাতা নাথান অ্যান্ডারসন এবং ভারতে তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করার পাশাপাশি এই বিষয়ে একটি যথোপযুক্ত তদন্তেরও আবেদন জানান। একই সঙ্গে তিনি হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের সম্পর্কিত মিডিয়া রিপোর্টগুলি বন্ধ করার জন্য আবেদন করেন। দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এদিন মামলার শুনানির সময় বলেন, "আমরা আমাদের নির্দেশ দেব। মিডিয়াকে এই নিয়ে কোনও আদেশ আমরা দিতে পারি না। "

ভারতের প্রধান বিচারপতি (সিজেআই) ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পিএস নরসিমা এবং জেবি পারদিওয়ালার বেঞ্চ এই বিষয়ে শুনানি করেন। তিনি এর আগে ১৭ ফেব্রুয়ারি শুনানির সময় বলেছিলেন যে আদালত নিজেই একটি কমিটি নিয়োগ করবে, আদালত এটা করলে বিষয়টির প্রতি মানুষের সম্পূর্ণ আস্থা থাকবে বলে করে শীর্ষ আদালত। এর আগে ১৭ ফেব্রুয়ারি আদানি গোষ্ঠী- হিন্ডেনবার্গ বিতর্কে কেন্দ্রের তরফে পেশ করে ‘সিলড কভার’-এ রাখা কেন্দ্রের পরামর্শের নথি গ্রহণ করেনি সুপ্রিম কোর্ট । এবিষয়ে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, "আমরা আপনার সিল করা কভারে দেওয়া পরামর্শ গ্রহণ করব না কারণ আমরা সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা বজায় রাখতে চাই।" কারণ হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে স্বচ্ছ্বতার প্রসঙ্গ।

supreme court Adani
Advertisment