আদানি মামলার সমাধান কেন অমিল? বিভ্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের বিশেষজ্ঞ কমিটিও। সুপ্রিম কোর্টের বিশেষজ্ঞ কমিটি তাদের রিপোর্টে বলেছে হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগের তদন্ত সময়মতো শেষ করা দরকার।
আদানি গ্রুপ এবং হিন্ডেনবার্গ মামলার বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটি সুপ্রিম কোর্টে তাদের রিপোর্ট পেশ করেছে। বিশেষজ্ঞ কমিটি তাদের রিপোর্টে বলেছে যে আদানি গ্রুপ এবং হিন্ডেনবার্গ বিতর্কের বিষয়ে সমস্ত তদন্ত সময়মতো শেষ করার প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি শুক্রবার (১৯ মে), আদানি গোষ্ঠীকে আপাতত ক্লিন চিট দিল সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত বিশেষজ্ঞ কমিটি। মার্কিন শর্ট সেলার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের করা অভিযোগের তদন্তের জন্য এই কমিটি গঠন করেছিল সুপ্রিম কোর্ট।
কমিটি জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে আদানি গোষ্ঠী স্টক মার্কেটে কোনও 'প্রাইস ম্যানিপুলেশন' বা দামের হেরফের করেছিল বলে প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আদানি গোষ্ঠীর স্টক এখন স্থিতিশীল বলেও জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিশেষজ্ঞ কমিটি।
বিশেষজ্ঞ কমিটি বলছে যে ২৪ জানুয়ারী, ২০২৩ এর পরে, আদানির শেয়ারে খুচরা বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ বেড়েছে এবং এর ভিত্তিতে কমিটি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে ভারতীয় শেয়ার বাজার সম্পূর্ণ অস্থিতিশীল ছিল না। বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি-র পক্ষ থেকেও কোনও রকম নিয়ন্ত্রক ব্যর্থতা ছিল বলে সিদ্ধান্তে পৌঁছনো সম্ভব নয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আদানির শেয়ারের পতনের কারণ হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট।
বিশেষজ্ঞ কমিটি তাদের প্রতিবেদনে বলেছে যে বিশেষজ্ঞ প্যানেল বর্তমানে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারে না যে দামের কারসাজির অভিযোগে সেবি ব্যর্থ হয়েছে। মার্কিন শর্ট সেলার ফার্ম গৌতম আদানির পোর্ট-টু-এনার্জি সাম্রাজ্য’র বিরুদ্ধে স্টক ম্যানিপুলেশনের অভিযোগ সামনে এনেছে। বিশেষজ্ঞ কমিটি বলেছে যে SEBI এই ধরনের ১৩ টি সন্দেহজনক লেনদেন চিহ্নিত করেছে এবং নিয়ন্ত্রক এই লেনদেনে কোন ধরনের জালিয়াতি হয়েছে কিনা তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। সেবি এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে।
আদানি গ্রুপ এবং হিন্ডেনবার্গ বিতর্কের ক্ষেত্রে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করার জন্য SEBI-কে ১৪ আগস্ট, ২০২৩ পর্যন্ত সময় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই সময়ের মধ্যেই আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে মার্কিন ভিত্তিক শর্ট সেলার ফার্ম হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের করা অভিযোগের তদন্ত রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে সুপ্রিম কোর্ট সেবিকে ২ মাস সময় দিয়েছিল। কিন্তু SEBI সম্পূর্ণ তদন্তের জন্য আরও ৬ মাস অতিরিক্ত সময় চেয়েছিল, কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট SEBI কে সম্পূর্ণ তদন্তের জন্য মাত্র ৩ মাস সময় দিয়েছে।