Advertisment

Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপী মসজিদে হিন্দুদের পুজোর অনুমতি, বিরাট নির্দেশ আদালতের

Kashi Vishwanath Temple: আরঙ্গজেবের আমলে, ১৭ শতকে কাশীর আসল বিশ্বনাথ মন্দির ধ্বংস করে, তার ওপর মসজিদ গড়ে তোলা হয়েছে। এমনটাই অভিযোগ ছিল হিন্দুপক্ষের।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Gyanvapi, Varanasi District Court

Gyanvapi-Varanasi District Court: একই রায় দিয়েছিল বারাণসী জেলা আদালত। (ফাইল ছবি)

Varanasi District Court: কাশীর জ্ঞানবাপী মসজিদে হিন্দুদের পুজোর অনুমতি দিল বারাণসী জেলা আদালত। জেলা বিচারক এ কে বিশ্বেষার নির্দেশে বলেছেন, 'জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, বারাণসীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে পূজা (প্রার্থনা) একজন পুরোহিতের দ্বারা করানো হবে। কাশী বিশ্বনাথ ট্রাস্ট এবং অন্য আবেদনকারীদের দ্বারা পশ্চিমে বিতর্কিত মূর্তিগুলোর নামকরণ করা হয়েছে। প্লট নম্বর ৯১৩০, পুলিশ থাকা ও জেলা বারাণসীর ওই কাঠামোয় পূজা করা যাবে। এ জন্য সাত দিনের মধ্যে লোহা-সহ অন্যান্য জিনিসের মাধ্যমে ওই অংশের ব্যারিকেড করে দিতে হবে।'

Advertisment
  • কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের পুরোহিতরাই এখানে পুজো করবেন।
  • সাত দিনের মধ্যে পুজোর ব্যবস্থা করতে হবে প্রশাসনকে।
  • জেলা প্রশাসনকে ব্যারিকেড তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের পুরোহিতরাই এখানে পুজো করবেন। এর আগে গত ২৪ জানুয়ারি, বারাণসী জেলা প্রশাসন জ্ঞানবাপী মসজিদ কমপ্লেক্সের দক্ষিণ অংশটি সিল করেছিল। আচার্য বেদব্যাস পীঠ মন্দিরের প্রধান পুরোহিত শৈলেন্দ্রকুমার পাঠকের দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে প্রশাসন এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল। বারাণসী জেলা আদালতের নির্দেশে প্রশাসন ওই পদক্ষেপ নেয়। এরও আগে গত ১৭ জানুয়ারি, বারাণসীর জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে জ্ঞানবাপী মসজিদের দক্ষিণ ভাগের রিসিভার নিযুক্ত করেছিল আদালত। এই ব্যাপারে বুধবার বারাণসীর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস রাজালিঙ্গম বলেছেন, 'আমরা আদালতের নির্দেশ মেনে চলছি। বিতর্কিত ওই অংশের দায়িত্ব নিয়েছি। আদালতের নির্দেশে এমনটা করা হয়েছে।'

আরও পড়ুন- Hemant Soren: এবার ইডিকে পাল্টা চাপ মুখ্যমন্ত্রীর, বেনজির পদক্ষেপ হেমন্ত সোরেনের

জ্ঞানবাপী মসজিদ ভবনের ওপর আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (এএসআই)-এর সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশের ছয় দিন পরে আদালত বুধবার তার নির্দেশ দিল। তারও আগে বারাণসী জেলা আদালত এএসআইকে নির্দেশ দিয়েছিল, মসজিদটি একটি হিন্দু মন্দিরের কাঠামো ভেঙে তার ওপর নির্মিত হয়েছিল কি না, তা নিশ্চিত করতে। তার প্রেক্ষিতে এএসআই রিপোর্টে জানিয়েছে, ওটি আগে একটি মন্দির ছিল। আওরঙ্গজেবের রাজত্বকালে ১৭ শতকে মন্দিরটি ধ্বংস করা হয়। আর, সেই ভেঙে ফেলা কাঠামোই অদলবদল এবং পুনরায় ব্যবহার করে মসজিদ তৈরি করা হয়েছে। এএসআই সিল দিয়ে তাদের মুখবন্ধ করা কভারে এমনটাই রিপোর্টে জানিয়েছে।

আরও পড়ুন- বাজেট কেমন, বিনা সাহায্যে বুঝতে চান? তাহলে এগুলোয় নজর রাখুন

দীর্ঘদিন ধরেই হিন্দুপক্ষ অভিযোগ করে আসছিল, ১৭ শতকে কাশীর আসল বিশ্বনাথ মন্দির ধ্বংস করে, তার ওপর মসজিদ গড়ে তোলা হয়েছে। বছর দুয়েক আগে হিন্দু সম্প্রদায়ের চার মহিলা এই মসজিদ চত্বরে পুজো করতে চেয়ে মামলা করেছিলেন। তাঁদের দাবি ছিল, মন্দির ভেঙে সেই জায়গায় এই মসজিদ হয়েছে। ওই চার মহিলা আবেদনকারীর আইনজীবী বিষ্ণুশংকর জৈন এর আগে এএসআইয়ের রিপোর্টের প্রত্যয়িত কপির ভিত্তিতে দাবি করেছিলেন যে, মসজিদের মধ্যে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তির অংশ পাওয়া গিয়েছে। বুধবার বারাণসী আদালতের রায়ের পর আইনজীবী জৈন জানান, মসজিদের 'ব্যাস কা তেহখানা' অংশেই বিচারক পুজোর অনুমতি দিয়েছেন।

Temple Court Order gyanvapi mosque
Advertisment