উগ্রবাদ, চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে মুসলিম নেতাদের দৃঢ় অবস্থান নেওয়া দরকার। মনে করেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধান মোহন ভগবত। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, ভারতে বসবাসকারী হিন্দু এবং মুসলিমদের পূর্বপুরুষরা একই। এ দেশে বসবাসকারী সকলেই ‘হিন্দুও’।
'রাষ্ট্র প্রথম- রাষ্ট্র সর্বোপরি' বিষয়ক একটি সভায় ভাগবত বলেন, "ঐতিহাসিকভাবে সত্য যে হানাহানির মানসিকতা নিয়েই মুসলিমরা ভারতে এসেছিল। কিন্তু সে অনেক আগের কথা। পরিস্থিতি বদলেছে। এখন বিচক্ষণ মুসলিম নেতাদের উগ্রবাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলা প্রয়োজন। ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। এই কাজের জন্য দীর্ঘমেয়াদী প্রচেষ্টা এবং ধৈর্য প্রয়োজন। আমাদের সকলের জন্য একটি দীর্ঘ এবং কঠিন পরীক্ষা। যত তাড়াতাড়ি আমরা এই প্রচেষ্টা শুরু করব, সমাজের ততই কম ক্ষতি হবে।"
দেশের ঐক্যের বার্তার মধ্যে 'হিন্দু' শব্দেরও ব্যাখ্যা দেন ভগবত। তাঁর কথায়, "হিন্দু হল মাতৃভূমি, পূর্বপুরুষ এবং ভারতীয় সংস্কৃতির ঐতিহ্যের প্রতীক। হিন্দু কোনও বর্ণ বা ভাষাগত বিশেষ্য নয়। বরং এটা উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য, সবধরনের মানুষের উন্নতি। ভাষা, বর্ণ, ধর্ম নির্বিশেষে যারা এই মতাদর্শে বিশ্বাস করেন, তাঁরাই হলেন হিন্দু। সেই প্রসঙ্গে আমরা প্রত্যেক ভারতীয়কে হিন্দু হিসেবে বিবেচনা করি।"
আরও পড়ুন- এক ধাক্কায় ৩১ হাজারে নামল দৈনিক সংক্রমণ, টিকাকরণে ফের নয়া নজির
তালিবানের কব্জায় আফগানিস্তান। ভারতীয় মুসলিমরা একে কীভাবে দেখছেন? মূলত এই বিষয়ের উপরই আলোচনা চলে। ইতিমধ্যেই আরএসএস, বিএইচপি কে তালিবানের সঙ্গে তুলনা করেছেন প্রখ্যাত গীতিকার জাভেদ আখতার। যার জন্য তাঁকে হাতজোড়ে করে ক্ষমাও চাইতে বলা হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে মুম্বাইতেই 'রাষ্ট্র প্রথম- রাষ্ট্র সর্বোপরি' আলোচনাসভায় বক্তাদের মতামত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান বলেন, "বৈচিত্র, বহুত্ববাদকে প্রাধান্য দিতে হবে। একে মেনে না নিলে সভ্যতা বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এতিহাসে বারে বারে এরপ্রমাণ মিলেছে। ভারতীয় সংস্কৃতি কাউতে পৃথক বলে মনে করে না।"
আলোচনায় অংশগ্রহণ করেছিলেন কাশ্মীর সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য অবসরপ্রাপ্ত লেঃ জেনারেল সৈয়দ আতা হাসনায়েন। তাঁর কথায়, "পাকিস্তান ১৯৭১ সালে ভারতকে রক্তাক্ত করারর বৃহথ যড়যন্ত্র করেছিল। কিন্তু, দেশের সরকার, সেনা ও কাশ্মীরের মানুষ তা বানচাল করেছে।"
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন