অশান্ত উপত্যকা। নিত্যদিন ভূস্বর্গের বিভিন্ন প্রান্তে জঙ্গিরা নিশানা করছে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষজনকে। এই হামলার মধ্য দিয়ে উপত্যকায় নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে চাইছে জঙ্গিরা, এমনই মনে করছেন জম্মু কাশ্মীরের পুলিশের ডিজিপি।
তাঁর মতে, এই মুহূর্তে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটি স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্যও আরও বেশি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। কারণ উপত্যকার বাইরের এলাকাগুলি এবার এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে ওঠার আশঙ্কা রয়েছে। এর মাঝেই দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগে রাতভর সেনা জঙ্গির গুলির লড়াইয়ে নিকেশ এক জঙ্গি।
জানা গিয়েছে ,মৃত জঙ্গি আহমেদ খান্দে হিজবুল মুজাহিদিনের সক্রিয় সদস্য। এই গুলির লড়াইয়ে তিন সেনা এবং একজন সাধারণ নাগরিকও আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কাশ্মীর পুলিশ।
কাশ্মীর পুলিশের আইজিপি বিজয় কুমার এক টুইটে উল্লেখ করেন, “দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগে রাতভর সেনা জঙ্গির গুলির লড়াইয়ে মৃত আহমেদ খান্দে হিজবুল মুজাহিদিনের সক্রিয় সদস্য। চার বছর আগে ২০১৮ সালে তিনি জঙ্গি সংগঠনে নাম লেখান। নিহত জঙ্গির কাছ থেকে একটি একে৪৭ রাইফেল, প্রচুর গোলাবারুদ, নথি উদ্ধার করা হয়েছে”। শুক্রবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগে এক জঙ্গির লুকিয়ে থাকার খবর পেয়েই সেনা-পুলিশের একটি যৌথ দল তল্লাশি শুরু করে। সেনা সূত্রে খবর, নিহত জঙ্গি আহমেদ খান্দে বিনা প্ররোচনায় সেনা-পুলিশের যৌথ দলের ওপর গুলি ছুঁড়তে শুরু করে তাতে কমপক্ষে তিন সেনা কর্মী এবং এক নিরীহ নাগরিক আহত হয়। এরপরই সেনার ছোঁড়া পাল্টা গুলিতেই মৃত্যু হয় ওই জঙ্গির।
আরও পড়ুন: একের পর এক কেষ্ট ঘনিষ্ঠ বিধায়ক-নেতা CBI অফিসে, আজই বড়সড় পদক্ষেপ?
উপত্যকার পুলিশ প্রশাসন জানিয়েছে, ঠিক এমন একটি সময়ে জঙ্গিদের হামলা বাড়তে শুর করেছে, যখন বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অলআউট অভিযান জারি রয়েছে। প্রায় সব জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের নিকেশ করেছে নিরাপত্তাবাহিনী। একইসঙ্গে জঙ্গিদের সাপোর্ট লাইনও অনেকাংশে ধ্বংস করা গিয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
পুলিশের মতে, হতাশাগ্রস্ত হয়েই জঙ্গিরা উপত্যকায় নিরস্ত্র পুলিশ, নিরপরাধ সাধারণ নাগরিক, রাজনীতিবিদ এবং মহিলা ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নাগরিকদের নিশানা করছে। কাশ্মীরে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা ও ভয়ের পরিবেশ তৈরি করা রাখার উদ্দেশ্যেই নির্বিচারে এই হত্যালালী চালাচ্ছে জঙ্গিরা।