HMPV Outbreak: চিনের পরে, ভারতে হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাসে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়তে থাকায় বাড়ছে উদ্বেগ। সোমবার, কর্ণাটক, গুজরাট তামিলনাড়ুর পাশাপাশি কলকাতাতেও HMPV-তে আক্রান্ত শিশুর সন্ধান মিলেছে। দেশবাসীর আতঙ্কের কথা বিবেচনা করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা এই বিষয়ে সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, "চিন্তার কোন কারণ নেই। এইচএমপিভি কোন নতুন ভাইরাস নয়। ২০০১ সালে প্রথম এই ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছিল, এবং এই ভাইরাসের অস্তিত্ব বহু বছর ধরে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে আছে,"।
চিনে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নতুন ভাইরাস। এই ভাইরাসের বিস্তার নিয়ে WHO এর কাছে আপডেট চেয়েছে ভারত সরকার। জনসাধারণকে 'উদ্বিগ্ন না হওয়ার অনুরোধ' জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক স্পষ্ট জানিয়েছে, যে কোন পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভারত 'সম্পূর্ণ প্রস্তুত'। চিনে শনাক্ত হওয়া হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) আবারও উদ্বেগ বাড়িয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে চিনে এই ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে নয়া এই ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে মানুষের মনে নানা ধরনের প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।
করোনা মহামারীর ৫ বছর পর ফের শিরোনামে চিন! HMPV ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব আবারও সারা বিশ্বের মানুষের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। আসলে, গত কয়েকদিন ধরে চিনে রীতিমত তান্ডব দেখাচ্ছে HMPV ভাইরাস। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জনগণকে এ বিষয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। চিনে ছড়িয়ে পড়া নতুন ভাইরাসের জেরে উত্তেজনায় গোটা বিশ্ব। আবারও করোনার মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কায় রাতের ঘুম উড়েছে মানুষজনের।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক চিনে এইচএমপিভি (হিউম্যান মেটাপনিউমো ভাইরাস) ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। কেন্দ্র বলেছে যে ভারতে ইতিমধ্যেই ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো অসুস্থতা (ILI) এবং শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ (SARI)নিয়ে শক্তিশালী নজরদারি চালাচ্ছে। তবে গতকাল সাতটি সংক্রমণের ঘটনা সামনে আসতেই আতঙ্ক দানা বেঁধেছে।
এইচএমপিভি অর্থাৎ হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস একটি আরএনএ ভাইরাস। হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাসের কারণে সাধারণভাবে জ্বর, সর্দি, কাশি, র্যাশ, শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের সৃষ্টি করে। সাধারণত শীত ও বসন্তে এই ভাইরাসের প্রভাব দেখা যায়। এই ভাইরাস চিনে এখন ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে। আক্রান্ত হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ। হাসপাতালে উপচে পড়ছে মানুষের ভিড়। যদিও এই ভাইরাসের অস্তিত্ব ১৯৫৮ সাল থেকেই পৃথিবীতে লক্ষ্য করা যায়। বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো ২০০১ সালে প্রথম এই ভাইরাস আবিষ্কার করেন। এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসের কোন ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয় নি।
হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস (HMPV) এর লক্ষণ
কাশি, জ্বর, সর্দি বা নাক, গলা ব্যাথা , শ্বাসকষ্ট । কিছু ক্ষেত্রে, ব্যক্তির শরীরে লাল ফুসকুড়ির মত র্যাশও দেখা দিতে পারে।
কিভাবে এই ফ্লু ছড়ায়?
শিশু, বয়স্ক এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিরা সহজের এই ভাইরাসের দ্বারা সংক্রামিত হতে পারেন। HMPV-তে আক্রান্ত হলে সাধারণত উপসর্গ ভিত্তিক চিকিৎসা করা হয়। এই ভাইরাসকে ঠেকানোর কোন ভ্যাকসিন এখনো আবিষ্কার হয়নি। সাধারণত ২-৫দিনের দিনের মধ্যে নিজে থেকেই সেরে যায় সংক্রমণ।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিকেল রিসার্চ (ICMR) সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে জানিয়েছে "আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই" এবং "HMPV ইতিমধ্যেই ভারত সহ সারা বিশ্বে বহু বছর ধরেই রয়েছে।" ভারতে HMPV-তে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে #Lockdown X (আনুষ্ঠানিকভাবে টুইটার) এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ট্রেন্ড করেছে।
এদিকে মুম্বইতে এখনো কোনো এইচএমপিভি আক্রান্তের সন্ধান মেলেনি বলে দাবি করেছে বিএমসি। সেই সঙ্গে নাগরিকদের সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানানো হয়েছে।