রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনের FCRA লাইসেন্স বাতিল করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন ‘ফরেন কন্ট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্ট’ লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ। তদন্তে দেখা গেছে, রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনে ডোনেশন দিয়েছে ভারতের চাইনিজ অ্যাম্বাসি। দীর্ঘদিন ধরেই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ইতিমধ্যেই একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করেছে এই তদন্তের জন্য। মূলত আর্থিক তছরুপ ও বিদেশি অনুদান সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘনের অভিযোগেই এই তদন্ত করা হয় রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে। তদন্তে ত্রুটি ধরা পড়ার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণকের তরফে লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কেন্দ্রীয় সরকার গান্ধী পরিবারের সাথে যুক্ত রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন (RGF) এর ফরেন কন্ট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্ট (FCRA) লাইসেন্স বাতিল করেছে। আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ২০২০ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির তদন্ত রিপোর্ট সামনে আসার পরে কেন্দ্র এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, রাহুল গান্ধী ফাউন্ডেশন ১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ওয়েবসাইট অনুসারে, ফাউন্ডেশন শিক্ষার পাশাপাশি স্বাস্থ্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, নারী ও শিশু এবং প্রতিবন্ধীদের আর্থিক সহায়তার মতো বিষয় নিয়ে কাজ করে।
এফসিআরএ লাইসেন্সের অধীনে, স্থানীয় সংস্থা এবং এনজিওগুলি বিদেশী প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তিদের কাছ থেকে অনুদান নিতে পারে, তবে যে অনুদান নেওয়া হচ্ছে তার সম্পূর্ণ তথ্য কেন্দ্রীয় সরকারকে দেওয়া বাধ্যতামূলক। এর মাধ্যমে সরকার জানতে পারবে অনুদান কোন প্রতিষ্ঠান থেকে নেওয়া হয়েছে। এবং সেই অনুদানের অর্থ দেশবিরোধী কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা! বিজেপির অভিযোগ, ২০০৫-২০০৬ সালে রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনে ডোনেশন দিয়েছে ভারতের চাইনিজ অ্যাম্বাসি।
আরও পড়ুন : < ‘বাতাসের স্বাস্থ্যে’র আরও অবনতি! চরম অস্বস্তিতে দিল্লি, সতর্কবার্তা বিশেষজ্ঞদের >
সনিয়া গান্ধী ছাড়াও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, রাহুল গান্ধী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং পি চিতাম্বরম এই ফাউন্ডেশনের সদস্য। এই সংগঠনটি ১৯৯১ সালে গঠিত হয়। রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনে আর্থিক অনিয়ম তদন্তের জন্য ২০২০ সালে একটি কমিটি গঠন করা হয়। ইডির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এই কমিটিতে ছিলেন। কমিটি দুদিন আগেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে তাদের রিপোর্ট জমা দেয় এরপরই রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনের FCRA লাইসেন্স বাতিল করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনের ২০০৫-০৬ সালের বার্ষিক রিপোর্টে চিনা দূতাবাসকে ‘অন্যতম অংশীদার ও দাতা’ বলে সম্বোধন করা হয়েছে। রাজীব গান্ধী ইন্সটিটিউট অফ কন্টেমপোরারি স্টাডিজকে চিনা দূতাবাস থেকে সাহায্য করা হয়েছিল বলে দেখা যাচ্ছে। এই সংস্থার নীতি প্রনয়ণ করে থাকে রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন। এছাড়াও সাহায্য করার তালিকায় নাম রয়েছে, ইউরোপীয় কমিশন, আয়ারল্যান্ড সরকার, রাষ্ট্রপুঞ্জের উন্নয়ন প্রকল্পের।
রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনের প্রধান কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। ফাউন্ডেশনের বোর্ডের সদস্যরা হলেন মনমোহন সিং, রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভঢরা, পি চিদাম্বরম ও মন্টেক সিং আলুওয়ালিয়া।