সমকামিতা একটি 'মানসিক ব্যাধি'। সমকামী বিবাহকে বৈধ করলে 'রোগীর নিরাময়ের পরিবর্তে সমাজে ব্যাধি বাড়তে পারে'। মহিলাদের স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা আরএসএসের এক ইউনিট তার সমীক্ষা রিপোর্টে এমনটাই জানিয়েছে। তারা সুপ্রিম কোর্টে এক আবেদনে জানিয়েছে, একই লিঙ্গের দম্পতিদের সন্তানের মধ্যে যৌন কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়বে। নারীর স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করা আরএসএসের শাখা সম্বর্ধিনী ন্যাস দাবি করেছে যে, 'আড়াই দিনে' সারা দেশে ৩০০ জনেরও বেশি ডাক্তার সমীক্ষা চালিয়েছে। আর, এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে সমকামীদের কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে 'নিরাময়' করা উচিত।
সংগঠনটি তার আইনজীবী শ্বেতা শর্মার মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টে একটি বক্তব্য জানিয়েছে। কারণ, সুপ্রিম কোর্ট বর্তমানে সমকামী বিবাহকে বৈধতা দেওয়ার আবেদনের শুনানি করছে। আদালতকে সংগঠনটি বলেছে, 'যদি একই লিঙ্গের নাগরিকের বিয়েটা সাধারণ ব্যাপার হয়ে যায়, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একই লিঙ্গের দম্পতিরা সন্তান-সহ লেসবিয়ান দম্পতিতে পরিণত হবে। এর মানে হবে যে সমাজে পিতৃহীন বহু সন্তান তৈরি হবে। আমরা জানি যে পিতারা ছেলেদের মধ্যে অসামাজিক আচরণ এবং অপরাধ ও মেয়েদের যৌন কার্যকলাপ কমাতে পারদর্শী।
শ্বেতা শর্মা যুক্তি দেন যে একই লিঙ্গের দম্পতিরা তাদের সন্তানদের সমকামিতার দিকে অভিমুখী করবে। তার বাবা-মা সমকামী বিয়ে মেনে নিলে শিশুদের মনে প্রভাব পড়বে এবং তারা এটাকে নিষিদ্ধ হিসেবে বিবেচনা করবে না। প্রকৃতপক্ষে তারা নিজেরাই সমকামী বিবাহের পক্ষে যাবে। এটিকে স্বাভাবিক করবে এবং বিপরীত লিঙ্গের বিবাহের পার্থক্য এবং গুরুত্ব উপলব্ধি করবে না।
আরও পড়ুন- জ্বলছে মণিপুর, ‘আসুন-দেখুন, বুঝে সমস্যাটা মেটান’, মোদী-শাহকে আহ্বান ‘লৌহমানবী’র
আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত অবশ্য চলতি বছরের শুরুর দিকে ধর্মগ্রন্থ উদ্ধৃত করে বলেছিলেন যে সমকামিতা দীর্ঘকাল ধরে ভারতীয় সংস্কৃতির অংশ ছিল। গত মাসে একজন প্রবীণ সংঘ নেতা ভারতীয় মজদুর সংঘের (বিএমএস) প্রাক্তন সভাপতি সিকে সাজি নারায়ণন তাঁর নিবন্ধে আরএসএস ঘনিষ্ঠ ম্যাগাজিন 'দ্য অর্গানাইজার'-এ সমকামী যৌনতাকে 'রাক্ষসদের অভ্যাস' বলে চিহ্নিত করেছেন। আর বলেছেন যে ভারতীয় ধর্মশাস্ত্র এই ধরনের যৌন আচরণকে মেনে নেয় না। উলটে, 'দণ্ড দেয়'।