রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (UN Security Council) বিতর্কে জম্মু কাশ্মীর প্রসঙ্গ তোলায় সন্ত্রাসদমনে পাকিস্তানের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই পালটা প্রশ্ন তুললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। রাষ্ট্রসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের (ইউএনএসসি) বৈঠকে পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারত। বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) পাকিস্তান রাষ্ট্রসংঘের বৈঠকে কাশ্মীর ইস্যু তোলায় ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর তার যোগ্য জবাব দিয়েছেন।
বহুপাক্ষিকতার সংস্কার নিয়ে রাষ্ট্র সংঘএর নিরাপত্তা পরিষদের বিতর্কে কাশ্মীর প্রসঙ্গ তোলেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়ল ভুট্টো। ঠিক তখনই কোন দেশের নাম না করেই পাকিস্তানের নিন্দা করে জয়শঙ্কর বলেন, "রাষ্ট্রসংঘের বিশ্বাসযোগ্যতা নির্ভর করে আমাদের বর্তমান সময়ের প্রধান চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলা করা, তা সেই মহামারীই হোক, জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যু, বা সন্ত্রাসবাদই।"
তিনি বলেন, জঙ্গিদের সুরক্ষা দিতে বহুপাক্ষিক মঞ্চের অপব্যবহার করা হচ্ছে। জয়শঙ্কর বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গোটা বিশ্ব যখন আরও সম্মিলিত ভাবে কাজ করছে এবং একত্রিত হচ্ছে, তখন অপরাধীদের সুরক্ষা দিতে এবং তাদের কাজকে ন্যায্য প্রমাণ করতে বহুপাক্ষিক প্ল্যাটফর্মের অপব্যবহার করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সারা বিশ্বের কাছে যেটা গ্রহণযোগ্য নয় তা ন্যায্য বলে মনে করার করার প্রশ্নই ওঠে না।’ পাকিস্তানের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘এটা অবশ্যই আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদে পৃষ্ঠপোষকতাকারী দেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তিনি বলেন, ওসামা বিন লাদেনকে অথিতির মর্যাদা দেওয়া বা প্রতিবেশী কোন দেশের সংসদে হামলা কোনোটাই এই কাউন্সিলের সামনে প্রচারের প্রমাণ হিসেবে কাজ করতে পারে না। উপযুক্ত ফোরামে প্রাসঙ্গিক সমস্যাগুলি সমাধান করার পরিবর্তে আমাদের বিভ্রান্ত এবং বিমুখ করার প্রচেষ্টা চলছে’।
কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলে সন্ত্রাস দমনে ভারতের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়ল ভুট্টো। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিতর্কে বিদেশমন্ত্রী এস জয় শংকর বলেন, "বিশ্ব যে বিষয়টিকে গ্রহণযোগ্য বল মনে করে না তাঁকে নায্যতা দেওয়ার কোনও প্রশ্ন ওঠে না। যারা সীমান্ত সন্ত্রাসে মদত দেয়, ওসামা বিন লাদেন এবং প্রতিবেশী দেশের সংসদে হামলাকারীদের প্রশয় দেয় তাঁরা এই কাউন্সিলের সামনে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে উপদেশ দিতে পারে না। "
উল্লেখ্য ১৩ ডিসেম্বর ২০০১, লস্কর-ই-তৈয়বা এবং জইশ-ই-মহম্মদের সন্ত্রাসীবাদীরা সংসদে হামলা চালায়। এই হামলায় দিল্লি পুলিশের পাঁচ কর্মী, সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের এক মহিলা কর্মী এবং দুই সংসদ সদস্য সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে শহীদ হন। হামলায় একজন কর্মচারী ও একজন ক্যামেরাম্যানও নিহত হয়েছেন।