গতকাল ভোররাতে পাঞ্জাবের ভাটিন্ডার সেনা ঘাঁটিতে গোলাগুলিতে চার সেনা জওয়ানের মৃত্যুর পর আরও একটি বড় ঘটনা সামনে এসেছে। গতকাল রাতে ডিউটিরত অবস্থায় নিজের রাইফেল থেকে আচমকা গুলি ছিটকে মৃত্যু হয়েছে আরও এক জওয়ানের। সেনা সূত্রে খবর, কর্তব্যরত এক সেনা জওয়ান হঠাৎ তার ইনসাস রাইফেল থেকে গুলি ছুঁড়লে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে ওই জওয়ানের নাম লাঘুরাজ। মৃত জওয়ানের দেহ রাখা হয়েছে ভাটিন্ডার হাসপাতালে। পুলিশ সূত্রে খবর, ময়নাতদন্তের পরই জানা যাবে এটা দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু নাকি ওই জওয়ান আত্মহত্যা করেছেন।
গতকাল ভোররাতে গুলির শব্দে কেঁপে ওঠে ভাটিন্ডার সেনা ঘাঁটি। মৃত্যু হয় চার সেনা জওয়ানের। স্টেশনে নির্বিচারে গুলি চালানোর ঘটনায় গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে কী কারণে এই নারকীয় হত্যা তার কারণ এখনও জানা যায়নি। এরপর পুরো এলাকা সিল করে দিয়েছে সেনাবাহিনী। চলছে তল্লাশি অভিযান। পাঞ্জাবের এসএসপি এই ঘটনায় সন্ত্রাসবাদী হামলার সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়েছেন।
তথ্য অনুসারে, পাঞ্জাবের ভাতিণ্ডার সেনা ঘাঁটিতে ভোর ৪.৩৫ মিনিটে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। এরপরই সেনা ঘাঁটির চারপাশে কুইক রিঅ্যাকশন টিম তল্লাশি চালাচ্ছে। পুরো এলাকাটি কর্ডন করে সিল করে দেওয়া হয়েছে এবং ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। তল্লাশি অভিযান চলছে। এ ঘটনায় চার সেনার মৃত্যু হয়েছে বলেই খবর। কয়েকদিন আগে ইউনিটের গার্ড রুম থেকে একটি ইনসাস অ্যাসল্ট রাইফেল নিখোঁজ হয়। এই ঘটনার সঙ্গে সেদিনের সেই ঘটনার যোগসূত্র রয়েছে বলেই মনে করছেন আধিকারিকরা।
সেনার দক্ষিণ-পশ্চিম কম্যান্ডের তরফে এক বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়েছে ভাতিণ্ডার সেনা ঘাঁটিতে নির্বিচারে গুলি চালনার ঘটনার জেরে চার সেনার মৃত্যু হয়েছে। ভোর ৪.৩৫ মিনিটে দ্রুত গুলি চালানোর ঘটনার পরপরই, সামরিক স্টেশনের চারপাশ ঘিরে নেয় কুইক রিঅ্যাকশন টিমের জওয়ানরা। পুরো এলাকাটি সিল করে দেওয়া হয়েছে এবং কাউকে ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। তল্লাশি অভিযান চলছে।
ঘটনা প্রসঙ্গে এক সেনা জওয়ান জানিয়েছেন, ব্যারাক থেকে দুজন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে বেরিয়ে আসতে দেখা গেছে, তাদের একজনের হাতে একটি ইনসাস রাইফেল ছিল এবং অন্যজনের কাছে ধারালো অস্ত্র ছিল।