Omicron Strain: দেশের দুই জনের দেহে এখনও পর্যন্ত ওমিক্রনের অস্তিত্ব মিলেছে। তাঁদের মধ্যে একজন ভারতীয় এবং অপরজন দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিক। প্রথম জন ২২ নভেম্বর করোনা আক্রান্ত হলেও ২৪ নভেম্বর চিকিৎসাধীন হয়েছিলেন। তাঁর শরীরে মৃদু উপসর্গ ছিল। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ২৭ নভেম্বর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু রহস্যজনক ভাবে দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিক করোনা সংক্রমিত হওয়ার দুই দিনের মধ্যে দিন নেগেটিভ রিপোর্ট দেখিয়ে ভারত ছাড়েন। আর এতেই উদ্বেগ বেড়েছে রাজ্য-সহ কেন্দ্রীয় সরকারের।
কীভাবে একজন সংক্রমিত হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই নেগেটিভ রিপোর্ট হাতে পেলেন? উলটে তিনি আবার করোনার ওমিক্রন স্ট্রেনে আক্রান্ত। এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বেঙ্গালুরু পুরসভাকে তদন্তের নির্দেশ কর্নাটক সরকারের। জানা গিয়েছে, ২০ নভেম্বর ওই বিদেশী নাগরিক বেঙ্গালুরু নামেন। সেদিন তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। সেই অবস্থায় ২৩ নভেম্বর নেগেটিভ রিপোর্ট দেখিয়ে তিনি ভারত ছাড়েন। এবং দুবাই হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ফিরেছেন। আর বৃহস্পতিবার কর্নাটক সরকার জানান, সেই বিদেশীর জিন বিন্যাসে ওমিক্রনের অস্তিত্ব ধরা পড়েছে। এই অবস্থায় কীভাবে ওই বেসরকারি ল্যাব তাঁকে নেগেটিভ রিপোর্ট দিল। খতিয়ে দেখতে বৃহৎ বেঙ্গালুরু পুরসভাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের রাজস্ব সচিব সংবাদ মাধ্যমকে জানান, পুর কমিশনারকে বলা হয়েছে একটি এফআইআর দায়ের করে তদন্ত করতে। কোথাও একটা অব্যবস্থা রয়েছে। আদৌ সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করে সেই ল্যাব করোনার নেগেটিভ নমুনা দিয়েছিল কি? সেটাই খতিয়ে দেখবে পুরসভা। এদিকে, ওমিক্রন নিয়ে হাজারো প্রশ্নের জন্ম হয়েছে। ভয়ের একটা কাঁপুনি তৈরি হয়েছে। প্রথম এবং দ্বিতীয় তরঙ্গের পর, ওমিক্রন তরঙ্গ আসবে কিনা, এই প্রশ্নটা তো সুনামি। কোভিড-কাতর সভ্যতা এখন চাইছে একটু স্বস্তি, বাজার চাইছে হুহু হোক উত্থান, ওমিক্রনে সে সব কি জলাঞ্জলি যাবে, মাথায় হাত দিয়ে ধপ করে বসে অনেকেই ভাবছেন প্রশ্নটা। কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রক চেষ্টা করেছে ওমিক্রন নিয়ে ফ্রিকোয়েন্টলি আস্কড কোশ্চেনের উত্তরগুলি দিতে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সেটাই সাজিয়ে দিয়েছে আপনাদের সামনে।
ওমিক্রনের ফলে কি ভারতে তৃতীয় তরঙ্গ আসবে?
দক্ষিণ আফ্রিকার ছাড়াও বেশ কয়েকটি দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ভারতেও ওমিক্রন দাঁত ফুটিয়েছে। কিন্তু এই ভাইরাসের কবলে পড়লে রোগীর হাল কতটা খারাপ হতে পারে, তা এখনও স্পষ্ট হয়নি, বলছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সেই সঙ্গে মন্ত্রকের যোগ, আরও বৈজ্ঞানিক তথ্যপ্রমাণের প্রয়োজন থাকলেও, আপাত ভাবে মনে করা হচ্ছে এর সংক্রমণে রোগীর কঠিন অবস্থা হওয়ার সম্ভাবনা কম।
বাজারে যে সব ভ্যাকসিন আছে, সেগুলি কি ওমিক্রন রুখতে কাজ করছে?
ভ্যাকসিনেশনের অত্যন্ত প্রয়োজন। এখানে কোনও প্রশ্ন নেই। সংশয়ের কোনও চিহ্ন রাখলে চলবে না। বলছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তাদের বক্তব্য, এখনও এমন কোনও পোক্ত প্রমাণ পাওয়া যায়নি, যাতে করে এটা বলা যাবে যে ওমিক্রনের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনগুলি কাজ করছে না। ভাইরাসের কোনও কোনও ভ্যারিয়েন্টের স্পাইক প্রোটিনের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনের কার্যক্ষমতা কিছু কম দেখা গিয়েছে বটে। কিন্তু ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে রোগ ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছবে না বলেই দেখা যাচ্ছে। তাই যাঁরা এখনও ভ্য়াকসিন নেননি, তাঁরা যেন আর দেরি না করেন, সতর্কতা স্বাস্থ্য মন্ত্রকের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন