শুক্রবার ভোরেই তেলেঙ্গানা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে হায়দরাবাদ ধর্ষণকাণ্ডের চার অভিযুক্ত। গত ২৭ নভেম্বর সামসাবাদ টোল প্লাজার কাছে পশু চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে ওই চার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। পরে হত্যা করে চিকিৎসকের দেহ পুড়িয়ে দেওয়ারও অভিযোগ ছিল ওই চারজনের বিরুদ্ধে। ঘটনার খবর জানাজানি হলেও অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশের দু'দিন কেটে যায়। গোটা দেশজুড়ে তেলেঙ্গানা পুলিশের বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় ওঠে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুন, ৩৭৫ ধারায় ধর্ষণ ও ৩৬২ ধারায় অপহরণের মামলা দায়ের করা হয়।
প্রবল অসন্তোষের মাঝেই হায়দরাবাদ ধর্ষণকাণ্ডের বিচার ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে হবে বলে জানায় তেলেঙ্গানা সরকার। মেহবুবনগরের অতিরিক্ত জেলা জজকে বিচারের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৪ দিনের হেফাজতে ছিল ওই চার জন।
আরও পড়ুন: দশ বছরে তৃতীয় সংঘর্ষ, দুটির নেপথ্যে একই পুলিশকর্তা
কীভাবে ঘটল হায়দরাবাদ এনকাউন্টার...
১) শুক্রবার ভোররাতে পশু চিকিৎসক ধর্ষণে অভিযুক্ত চার জনকে হায়দরাবাদ থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে ছত্তাপাল্লিতে নিয়ে যায় পুলিশ। অভিযোগ, ছত্তাপল্লিতেই চিকিৎসক তরুণীর দেহ জ্বালিয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছিল নভেম্বরের ২৭ তারিখ।
২) বুধবার রাতের ঘটনার তদন্তে তথ্য প্রমাণের সহায়তায় এই পুনর্নির্মাণ জরুরি ছিল বলে জানায় পুলিশ।
৩) পশু চিকিৎসকের দেহ জ্বালিয়ে দিতে কোথা থেকে পেট্রল কেনা হয়েছিল এবং স্কুটিটি নষ্ট করা হয় তা জানতেই অভিযুক্তদের ঘটনাস্থলে নিয়ে যায় পুলিশ।
৪) অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তীব্র অসন্তোষ মানুষের। আগেই অভিযুক্তদের কোর্টে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ ভ্যান লক্ষ্য করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল জনতা। সেই পরিস্থিতি এড়াতেই ভোররাতে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ।
আরও পড়ুন: নকাউন্টারে খতম হায়দরাবাদ ধর্ষণকাণ্ডের চার অভিযুক্ত, পুলিশের প্রশংসায় ধর্ষিতার বাবা
৫) পুলিশ জানায়, ছত্তাপাল্লিতে পৌঁছে অভিযুক্তরা একে অন্যকে পুলিশের উপর আক্রমণ করে পালানোর ইঙ্গিত করে।
৬) পুলিশকে আক্রমণ করেই তারা নির্জন প্রান্তের দিকে পালাতে থাকে। দাবি তেলেঙ্গানা পুলিশের।
৭) আত্মরক্ষার স্বার্থে চার অভিযুক্তকে লক্ষ্য করে পুলিশ গুলি ছোড়ে বলে জানানো হয়েছে।
৮) হায়দরাবাদ ধর্ষণকাণ্ডের চার অভিযুক্তের এনকাউন্টারে মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন সাইবারাবাদের পুলিশ কমিশনার ভি সি সজ্জানার। তাঁর কথায়, 'অভিযুক্তরা আক্রমণ করলে পুলিশ কী শুধু তাকিয়ে দেখবে?'
খবর জানাজানি হতেই সাইবারাবাদ কমিশনারেটের সামনে বহু মানুষ জড় হন। তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী সহ পুলিশের পদক্ষেপকে স্বাগত জানান তারা। ধর্ষিতার বাবা পুলিশের কাজে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। নির্ভয়ার মা-ও সাধুবাদ জানান।
Read the full story in English