রবিবার রাতেই হিউস্টন থেকে নিউইয়র্কে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার তিনি রাষ্ট্রসংঘের জলবায়ু সংক্রান্ত বৈঠকে যোগ দেবেন। এই সভার সভাপতিত্ব করবেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। প্রথম পর্বেই এই বৈঠকে ভাষণ দেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। Read the live blog in English
এরপর এদিন স্বাস্থ্য সংক্রান্ত এক বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা নরেন্দ্র মোদীর। তারপর রাষ্ট্রসংঘের সদস্য বেশ কয়েকটি রাষ্ট্র আয়োজিত সন্ত্রাসবাদ বিরোধী ও তার মোকাবিলা সংক্রান্ত বৈঠকেও যোগ দেবেন।
হিউস্টনে অনাবাসী ভারতীয়দের সভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দুই রাষ্ট্র নেতার উপস্থিতিতে এই সভা ছিল ঐতিহাসিক। সেখানেই নানা বিষয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। ট্রাম্পের প্রশ্ংসা থেকে শুরু করে নাম না করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। মোদীর বক্তব্য, “উনি ইতিমধ্যেই আমেরিকার অর্থনীতিকে ফের মজবুত করে তুলেছেন। আমেরিকা এবং সমগ্র পৃথিবীর জন্য অনেক কিছু করেছেন। আমরা ভারতীয়রা ওঁর সঙ্গে ভালোভাবে যোগস্থাপন করেছি।” এরপরই তিনি বলেন, “অব কী বার, ট্রাম্প সরকার।” এখানেই নাম না করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মোদী।
Live Blog
আমেরিকা সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই সংক্রান্ত সব খবরের আপডেট রইল এখানে, Follow the live updates here:
প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের আগে বক্তব্য রাখেন ট্রাম্প। মোদীকে আমেরিকার সবচেয়ে বড় এবং অনুগত বন্ধু আখ্যা দিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রপতি বলেন, ভারতের জন্য অসাধারণ কাজ করছেন মোদী। সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “আমেরিকা এবং ভারত, উভয় দেশের কাছেই সীমান্ত রক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা গর্বের সঙ্গে নিরীহ ভারতীয়-আমেরিকানদের উগ্রপন্থী ইসলামি সন্ত্রাসবাদের হাত থেকে রক্ষা করছি।”
প্রবাসী ভারতীয়দের উদ্দেশ করে ট্রাম্প বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে এক শক্তিশালী, সচ্ছল, সার্বভৌম ভারতকে দেখছে দুনিয়া। তাঁর কথায়, “আজ আমাদের সম্পর্ক আগের চেয়ে অনেক বেশি মজবুত, এবং আমাদের গণতন্ত্রের প্রতি আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।” তিনি আরও বলেন, “ভারত আজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যত বিনিয়োগ করছে, তা আগে করে নি, এবং ভারতে বিনিয়োগ করে তার প্রতিদান দিচ্ছি আমরাও।”
রবিবার হিউস্টনে 'হাওডি মোদী' র ভূয়সী প্রশংসা করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। এই সভাকে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে এক 'ঐতিহাসিক ঘটনা' বলে দাবি করছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। ট্যুইটে তিনি লিখেছেন, "বিশ্বের দুই বৃহৎ গণতন্ত্রিক দেশের রাষ্ট্রনেতারা সার্বিক উন্নতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। যা আগে কখনও দেখা যায়নি। এই সভা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের সাফল্যে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।" রাজনাথ সিংও ভারত-মার্কিন আরও পোক্ত পারস্পারিক সম্পর্কের বিষয়ে আশা প্রকাশ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে এদিন একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। যেখানে ক্ষমা চাইতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে। মোদী ক্ষমা চেয়েছেন মার্কিন সেনেটর জন কর্নানের স্ত্রীর কাছে৷ মার্কিন সেনেটর কার্নানের স্ত্রীর জন্মদিনের দিনই হাউডি মোদীর মত মেগা শোয়ের আয়োজন করা হয়৷ খুব স্বাভাবিকভাবেই স্ত্রীর ৬০তম জন্মদিনে উপস্থিত থাকতে পারেননি মার্কিন সেনেটর৷ তাঁর জন্যই এই দম্পতি নিজেদের মত করে সময় কাটাতে পারলেন না বলে দু:খপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী৷
এক বছর পূর্তি হল কেন্দ্রের 'আয়ুষ্মান ভারত' প্রকল্পের। যা াসার আলো বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। সোমবার যা নিয়ে ট্যুইট করেন মোদী। আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য যোজনায় ১০ কোটি পরিবারের প্রায় ৫০ কোটি মানুষ স্বাস্থ্যবীমার সুবিধা পান। এতে ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্যবীমার সুবিধা পাচ্ছেন প্রতিটি পরিবার।
রাষ্ট্রসংঘের ৭৪তম সাধারণ সভায় ভারতের ভূমিকা খুবই উল্লেখযোগ্য হবে। মনে করেন রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি সৈয়দ আকবরউদ্দিন। ভারত এই বৈঠক থেকে ফলপ্রসূ ফলাফল আশা করছে বলে জানান তিনি। আগামী এক সপ্তাহ ধরে রাষ্ট্রসংঘের ৭৫টি দেশের বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিনিধিরা প্রধানমন্ত্রী মোদী, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ভি মুরলীধরণের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরের মার্কিন নির্বাচনের পরও প্রেসিডেন্ট পদে দেখতে আগ্রহী প্রধানমন্ত্রী মোদী। রবিবার হিউস্টনে তা স্পষ্ট করে দেন নমো। তিনি বলেন, "অব কী বার, ট্রাম্প সরকার"। এনআরজি স্টেডিয়ামে একত্রিত বিপুল সংখ্যক দর্শকের উদ্দেশে মোদী আরও বলেন, তিনি ট্রাম্পের “নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা, আমেরিকার জন্য উদ্দীপনা, প্রত্যেক মার্কিন নাগরিকের জন্য চিন্তা, এবং আমেরিকাকে আরও একবার স্বমহিমায় উজ্জ্বল করার দৃঢ় প্রত্যয়ের” জন্য তাঁকে শ্রদ্ধা করেন।
প্রতিবাদে সরব কংগ্রেস। দেশের প্রাচীন রাজনৈতিক দলটি মনে করে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য দেশের পররাষ্ট্র নীতির উপর আঘাত। বেশ কয়েকটি ট্যুইটে কংগ্রেসের মুখপাত্র আনন্দ শর্মা জানান, মোদী "অব কী বার, ট্রাম্প সরকার" মন্তব্য করে সেদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছেন। যা ভারতের পররাষ্ট্র নীতি মেনে কোনও অবস্থাতেই কাম্য নয়। এই মন্তব্যর ফলে দেশের দীর্ঘমেয়াদী পররাষ্ট্র নীতির ক্ষতি হতে পারে।