Advertisment

'কেন এসব করতে গেলেন?' জেএনইউকে বার্তা মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের

কেন জামিয়া মিলিয়ার উপাচার্যের মত পদক্ষেপ করা হল না? প্রশ্ন মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

মানব সম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী রমেশ পোখড়িয়াল।

রবিবার রাতে মুখোশধারীদের ভয়ঙ্কর তাণ্ডব চলে জেএনইউতে। জখম হন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনের সভানেত্রী সহ বেশ কয়েকজন। ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। সোমবার বৈঠকে জেএনইউ কর্তৃপক্ষকে সেই অসন্তোষের কথা জানিয়েছেন মন্ত্রকের আধিকারিকরা। এক্ষেত্রে গত ১৫ ডিসেম্বর জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ায় হামলার পর উপাচার্যের যে ভূমিকা ছিল তার প্রশংসা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisment

৫ই জানুয়ারি জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার পর প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে বিভিন্ন মহল থেকে। পরিস্থিতি লঘু করতে পুলিশে অভিযোগ বা পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ার কথা এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিল মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। বিশ্ববিদ্যালয় চালু রেখে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে তা তুলে ধরাই ছিল এর মূল লক্ষ্য। জানিয়েছেন মন্ত্রকের এক আধিকারিক।

আরও পড়ুন: ঐশী ঘোষের বিরুদ্ধে এফআইআর পুলিশের

সোমবার সকাল পর্যন্ত আহত পড়ুয়াদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেয়নি জেএনিউ কর্তৃপক্ষ। যা জানতে পেরে সোমবারের বৈঠকে জেএনইউয়ের সহ উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, রেক্টর ও প্রোকটরকে তাদের অসন্তোষের কথা জানায় মানব সম্পদ উনন্নয়ন মন্ত্রকের আধিকারিকরা। এক্ষেত্রে আরও সংবেদনশীল হলে পরিস্থিতি অন্যরকম হতে পারত বলে মনে করেছিল মন্ত্রক।

আরও পড়ুন:  জেএনইউকাণ্ড: হোয়াটসঅ্যাপই কি মুখোশ খুলল এবিভিপির?

গত ১৫ ডিসেম্বর পুলিশের বিরুদ্ধে বিনা অনুমতিতে জামিয়া মিলিয়াতে প্রবেশ করে পড়ুয়াদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ ওঠে। পরিস্থিতি ভযঙ্কর হয়। পরে, পরিস্থিতি উপার্য নাজমা আকতার অত্যন্ত সুচারুভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে বলে মনে করছে মন্ত্রক। জামিয়ার উপার্য পুলিশের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার পাশাপাশি আহত পড়ুয়াদের দেখতে যান ও চিকিৎসার ব্যয়ভার বিশ্ববিদ্যালয় নিচ্ছে বলে ঘোষণা করেন। জেএনইউয়ের ক্ষেত্রে এমনটা হয়নি। সোমবার জেএনইউ পরিস্থিতি নিয়ে মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনা করেন সহ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, রেক্টর ও প্রোকটর।

সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের খবর অনুশারে মানব সম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী রমেশ পোখড়িয়াল বলেছেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় রাজনীতির জায়গা নয়। যারা দোষী প্রমাণিত হবেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়কে কোনও মতেই রাজনীতির আখড়া করা হবে না।' স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকও জেএনইউতে হামলার ঘটনা নজরে রেখেছে। রবিবার রাতে ঘটনার পরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিশ্ববিদ্য়ালয়ে হামলা নিয়ে দিল্লির পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেন। সোমবার, দিল্লির উপরাজ্যপালকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার পরামর্শ দেন। তার প্রেক্ষিতেই জেএনইউ কর্তৃপক্ষ ও পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেন উপরাজ্যপাল। পুরো ঘটনার তদন্তভার দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চকে দেওয়া হয়েছে বলে উপরাজ্যপালকে জানান রেজিস্ট্রার।

Read  the full story in English

JNU
Advertisment