Advertisment

পাঁচ শীর্ষ নেতা বাদে জম্মু কাশ্মীরে আটক রাজনীতিকদের পর্যায়ক্রমে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রশাসনের

নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে সুরক্ষার কারণ দর্শিয়ে এই নেতাদের শের-ই-কাশ্মীর আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে সরিয়ে এমএলএ হস্টেলে আনা হয়েছিল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Jammu Kashmir, Internet Service

নতুন বছরেই মুক্তি পেতে পারেন জম্মু কাশ্মীরের এমএলএ হস্টেলে আটক রাজনৈতিক নেতারা। যদিও তাঁদের মধ্যে পাঁচ নেতাকে এখনই পর্যায়ক্রমে ছাড়া হচ্ছে না বলেই জানা গিয়েছে। তবে ভবিষ্যতে তাঁদেরকেও এই আটক দশা থেকে মুক্তি দেওয়া হবে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে সূত্র জানিয়েছে, যে পাঁচ নেতাকে শীঘ্রই মুক্তি দেওয়া হবে তাঁরা হলেন, পিপলস কনফেরেন্স প্রধান সাজাদ লোন, ন্যাশনাল কনফেরেন্সের সাধারণ সম্পাদক আলি মহম্মদ সাগর, প্রাক্তন আইএএস অফিসার এবং জম্মু কাশ্মীর পিপলস মুভমেন্টের সভাপতি শাহ ফয়সাল, বর্ষীয়ান পিডিপি নেতা নাইম আখতার এবং পিডিপি যুব দলের সভাপতি ওয়াহিদউর রেহমান পারা।

Advertisment

আরও পড়ুন: বিশ্বভারতীকে শোকজ নোটিস দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জম্মু কাশ্মীর প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, "এই পাঁচ জনকে বাদ দিয়ে অন্যদেরও ধীরে ধীরে ব্যাচ করে করে মুক্তি দেওয়া হবে। মুক্তি বন্ডে স্বাক্ষরের ভিত্তিতে এই সপ্তাহে কমপক্ষে ছয়জনকে মুক্তি দেওয়া হবে।" পিডিপির আজাজ মীর, এনসির সালমান সাগর, শওকত গনাই, আলি মোহাম্মদ দার এবং আলতাফ কুলু এবং আওয়ামী ইত্তেহাদ পার্টির আইনজীবী তথা সমাজ কর্মী বিলাল সুলতান-সহ ২৬ জন বিধায়ক এখনও আটক হস্টেলে।

আরও পড়ুন: বড় কেলেঙ্কারি! ২৫ লক্ষ টাকার ঘুষের মামলায় সিবিআই জালে ডিআরআই এডিজি

উল্লেখ্য, নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে সুরক্ষার কারণ দর্শিয়ে এই নেতাদের শের-ই-কাশ্মীর আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে সরিয়ে এমএলএ হস্টেলে আনা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, আগস্টের প্রথম সপ্তাহে, মোট ৫৮ জন রাজনৈতিক বন্দিকে শের-কাশ্মীর কেন্দ্রে রাখা হয়েছিল।

সূত্রের খবর, জম্মু কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদের পরই আগস্টের প্রথম কয়েক সপ্তাহে উপত্যকা জুড়ে অনেক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৮০০ বা তার বেশি ব্যক্তিদের আটক করা হয়েছে শুধু কাশ্মীরেই। এছাড়াও রাজ্যের অন্যান্য কারাগারে বন্দি রয়েছে প্রায় ২০০ জন ব্যক্তি। উল্লেখ্য, ৩৭০ ধারা বাতিল ঘিরে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয় জম্মু-কাশ্মীরকে। মেহবুবা মুফতি, ওমর আবদুল্লার মতো শীর্ষস্থানীয় নেতাদের আটক করে রাখা হয়। বিভিন্ন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। জম্মু-কাশ্মীরের এই পরিস্থিতি ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠে জাতীয় রাজনীতি।

সোমবার পাম্পোরের প্রাক্তন বিধায়ক জহুর মীর, ত্রালের এনসি নেতা গুলাম নবি, প্রাক্তন বিধায়ক ইশফাক জব্বর, প্রাক্তন এমএলসি ইয়াসির রেশি ও পিডিপি নেতা বসির মীরকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

Read the full story in English

Article 370 jammu and kashmir
Advertisment