Advertisment

টাইটান সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষে মিলল দেহের সন্ধান, ডুবের যাওয়ার আগের মুহূর্তে ভয়াবহ বিস্ফোরণ?

ভারতীয় সময় অনুসারে, টাইটান সাবমেরিনটি ১৮ জুন বিকেল ৫টা বেজে ৩০ মিনিটে আটলান্টিক মহাসাগরে প্রবেশ করে এবং প্রায় ১ ঘন্টা ৪৫ মিনিট পর সেটি নিখোঁজ হয়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Titan submersible, Titan submersible wreckage, oceangate titan wreckage, US coast gaurd, US news, Titan submersible news, indian express

টাইটান সাবমেরিনে থাকা পাঁচজনেরই যে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে সেই বিষয়টি আগেই নিশ্চিত করেছিল সাবমেরিন পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ওশানগেট। নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধাও নিবেদন করেছে ওশানগেট। ডুবে যাওয়া টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখতে সাবমেরিনে থাকা সকলেই গভীর সমুদ্রে গিয়েছিলেন, সেখানেই তাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ‘মাদারশিপ’-এর ।

Advertisment

গত ১৮ জুন, ওশানগেটের এই সাবমেরিনটি যাত্রা শুরু করেছিল, প্রথম ২ ঘন্টার মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অবশেষে উদ্ধার হল সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষে। সেই সঙ্গে মিলল মানবদেহের সন্ধানও। এমনটাই জানিয়েছে মার্কিন কোস্টগার্ড কর্মকর্তারা। বুধবার টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখতে আটলান্টিক মহাসাগরে যাওয়া টাইটান সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে।

সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষে মানবদেহের সন্ধান পাওয়ার কথা জানিয়েছেন মার্কিন কোস্টগার্ড কর্মকর্তারা। সংবাদ সংস্থা এপি জানিয়েছে, এই দেহাবশেষ পরীক্ষার জন্য মেডিকেল টিমের কাছে পাঠানো হবে। বুধবার টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখতে আটলান্টিক মহাসাগরে যাওয়া টাইটান সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। মার্কিন কোস্টগার্ডের কর্মকর্তারা দেহ উদ্ধারের পর কানাডার সেন্ট জন বন্দরে নিয়ে আসেন।

সাবমেরিনে উপস্থিত পাঁচজনের মৃত্যু হয়। সাবমেরিনটি খুঁজে বের করার চেষ্টা প্রায় চার দিন ধরে অব্যাহত ছিল এবং তারপর ২৩ জুন টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ থেকে ১৬০০ ফুট দূরে সাবমেরিনটির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়। ব্রিটিশ ব্যবসায়ী হামিশ হার্ডিং, ফরাসি ডুবুরি পল হেনরি, পাক-ব্রিটিশ ব্যবসায়ী শাহজাদা দাউদ, তার ছেলে সুলাইমান এবং ওশানগেটের সিইও স্টকটন রাশ টাইটান সাবমেরিনে ছিলেন।

ভারতীয় সময় অনুসারে, টাইটান সাবমেরিনটি ১৮ জুন বিকেল ৫টা বেজে ৩০ মিনিটে আটলান্টিক মহাসাগরে প্রবেশ করে এবং প্রায় ১ ঘন্টা ৪৫ মিনিট পর সেটি নিখোঁজ হয়। ১৯১২ সালে উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে ডুবে যায় যাত্রীবাহী জাহাজ টাইটানিক। মৃত্যু হয়েছিল দেড় হাজার মানুষের। যাত্রা শুরুর মাত্র ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায় সাবমেরিন। নিখোঁজ ডুবোজাহাজ উদ্ধারে নামে আমেরিকা এবং কানাডার সেনা। সাগর তোলপাড় করে চলছিল সন্ধান। অবশেষে খোঁজ মিলল তার। মর্মান্তিক এই পরিণতিতে শোকের ছায়া।

আটলান্টিক মহাসাগরে ১১১ বছর আগে ডুবে যাওয়া টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখাতে যাওয়া সাবমেরিনটিও ডুবে যায়। টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষের ১৬০০ ফুট নিচে টাইটানিক সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। বলা হয়েছে যে সাবমেরিনটিতে একটি বিস্ফোরণ হয়েছিল, যার পরে এটি টুকরো টুকরো হয়ে যায়। এই সাবমেরিনে থাকা পাঁচ জনের সবারই মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। ডুবোজাহাজ ডুবির বিষয়টি বিশ্বজুড়ে আলোচিত হচ্ছে। মানুষের মনে একটাই প্রশ্ন যে এতকিছুর পর কি এমন হল? যার কারণে সাবমেরিনে বিস্ফোরণ ঘটে।

titan
Advertisment